ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবার নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ তৈরি করছে। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কাজে পরীক্ষামূলকভাবে নিজস্ব এআই চিপের ব্যবহার শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই আরও বড় পরিসরে চিপটির উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু হবে।

মেটা বর্তমানে গ্রাফিকস কার্ড ও চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এআই চিপ ব্যবহার করে থাকে। এবার এনভিডিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় এআই চিপ তৈরির মাধ্যমে নিজস্ব এআই অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করেছে মেটা। এ বিষয়ে মেটার দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এআইনির্ভর প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মেটার অবকাঠামোগত ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ বছর মেটার অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১১৪ থেকে ১১৯ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে, যার মধ্যে এআই খাতেই ব্যয় হতে পারে ৬৫ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব চিপ উন্নয়নের মাধ্যমে বিদ্যমান ব্যয় কমিয়ে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্ষমতা বাড়ানোই মেটার মূল লক্ষ্য।

নতুন এআই চিপটি মূলত মেটার অভ্যন্তরে এআই প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। সাধারণ গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিটের (জিপিইউ) তুলনায় চিপটি কম বিদ্যুৎ খরচ করলেও দক্ষতার সঙ্গে এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। তাইওয়ানের চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টিএসএমসির সহায়তায় এআই চিপটি তৈরি করছে মেটা।

মেটার মেটা ট্রেনিং অ্যান্ড ইনফারেন্স অ্যাকসেলারেটর (এমটিআইএ) প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশিক্ষণ চিপটি তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর থেকে মেটা এআই প্রযুক্তিনির্ভর এমটিআইএ চিপ ব্যবহার শুরু করেছে, যার মাধ্যমে বর্তমানে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নিউজ ফিডে সহায়ক কনটেন্ট প্রদর্শন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্র: রয়টার্স

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এআই চ প ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

মা-ছেলে নিখোঁজ, অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে বললেন ‘তারা ভালো আছেন’

রাজধানীর ওয়ারী থেকে এক নারী ও তার শিশুসন্তান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। তারা হলেন– লামিয়া তাসমেরী মুন (৩২) ও আহনাফ কবির ইনাফ (৭)। মঙ্গলবার দুপুরে ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে বের হওয়ার পর আর তাদের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যায় একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে স্বজনকে বলা হয়, ‘তারা ভালো আছেন।’ এরপর সেই নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

লামিয়ার স্বামী হুমায়ুন কবির পুরান ঢাকার নবাবপুরে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তিনি সমকালকে জানান, ওয়ারীর যুগীনগর লেনে পরিবারের সঙ্গে থাকেন লামিয়া। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওয়ারী স্ট্রীটের তিন নম্বর গলির ইএলসি স্কুলে ইনাফের পরীক্ষা ছিল। এজন্য ছেলেকে নিয়ে তিনি স্কুলে যান। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মা–ছেলে স্কুলের সামনে থেকে হেঁটে অদূরে চৌরাস্তা পর্যন্ত যান। এই দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে এরপর তারা কোন দিকে গেছেন, নাকি কেউ তাদের তুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি লামিয়ার মা মনোয়ারা বেগমকে কল করে বলেন, আপনার মেয়ে ও নাতি ভালো আছে। পরে সেই নম্বরটির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হয়। দেখা যায়, বরিশালের হিজলার এক ব্যক্তির নামে সেটির নিবন্ধন রয়েছে। সেই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা। তবে কলটি করা হয়েছে ডেমরার ডগাইর এলাকা থেকে। এ বিষয়ে ওয়ারী থানা পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ সমকালকে বলেন, নিখোঁজ নারী–শিশুর সম্ভাব্য একটি অবস্থানের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের পর জানা যাবে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ