Prothomalo:
2025-03-12@14:14:48 GMT

খাওয়ার পর ওষুধ

Published: 12th, March 2025 GMT

আগের পর্বআরও পড়ুনঅ্যাই গাধা, ঘুমাচ্ছিস কেন?২১ ঘণ্টা আগে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নিজ বাড়িতে জামদানি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রনি

নিজ বাড়িতে জামদানি শাড়ি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন চাঁদপুরের হাইমচরের রনি পাটোয়ারী। তিনি ৩নং দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিজ এলাকা ছাড়িয়ে বাড়ি তৈরি এই জামদানি শাড়ি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া এই উদ্যোক্তা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজের একটি দোচালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রনি।

রনির বাবা বিল্লাল পাটোয়ারী বলেন, “প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব কাটাতে রনি হাইমচর ছেড়ে পাড়ি জমায় নারায়ণগঞ্জে। পরে সেখানে নানা জায়গায় থেকে জামদানি কাপড় বোনার পুরো কাজ রপ্ত করে সে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। একাডেমিক পড়াশুনা না থাকলেও এখন এই শাড়ি বিক্রিতেই রনি সংসারের হাল ধরেছে।”

রনির মা সালমা বেগম বলেন, “সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানি তৈরি করতে রনির তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। এ কারণে বিভিন্ন যায়গা থেকে অর্ডার এলেও তা ডেলিভারি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে।”

জামদানি শাড়ি তৈরির উদ্যোক্তা রনি পাটোয়ারী বলেন, “আমরা সাত ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই মিলে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ করছি। ইতিমধ্যে ভালো সাড়া পেয়েছি। এ কাজে আরও অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা রয়েছে। এজন্য আমার সরকারি-বেসরকারি সহয়তা খুব প্রয়োজন।”

রনি পাটোয়ারী আরো বলেন, “আমার তৈরি এক একটি জামদানি শাড়ির বর্তমান মূল্য ৩৭০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কারো চাহিদানুযায়ী অর্ডার পেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি তৈরিও করতে পারি। আমার এ কাজকে এগিয়ে নিতে আমি সবার দোয়া চাই।”

এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাইমচরের ৩নং দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল বলেন, “রনির জামদানি শাড়ির এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় করতে আমার পরিষদ থেকে সহায়তা থাকবে। আমি চাই এই শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক।”

চাঁদপুরের হাইমচরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, “প্রশাসনিক বিভিন্ন মেলায় এই জামদানি শাড়িকে তুলে ধরাসহ এ শিল্পটিকে ছড়িয়ে দিতে রনির এই শিল্প তৎপরতাকে ঘিরে আরও ব্যাপকভাবে কর্মপরিকল্পনায় নেওয়া হবে। ওর যেকোন সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।”

ঢাকা/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ