অভিনেত্রী সৌন্দর্যের মৃত্যুর ২১ বছর পর মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 12th, March 2025 GMT
২০০৪ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সৌন্দর্য। তার মৃত্যুর ২১ বছর পর তাকে হত্যার অভিযোগে তেলেগু সিনেমার অভিনেতা মোহন বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। চিত্তিমালু নামে একজন সমাজকর্মী এ মামলা দায়ের করেছেন। খবর এনডিটিভির।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার বাসিন্দা সমাজকর্মী চিত্তিমালু পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ, অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যু দুর্ঘটনাজনিত নয়। বরং মোহন বাবুর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
চিত্তিমালু লিখিত অভিযোগে জানান, অভিনেত্রী সৌন্দর্য হায়দরাবাদের জলপল্লী এলাকায় ৬ একর জমি কিনেছিলেন। এই জমি নিয়ে মোহন বাবুর সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় অভিনেত্রী সৌন্দর্যের। মোহন বাবু জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌন্দর্য ও তার ভাই অমরনাথ বিরোধিতা করেন। সৌন্দর্যের মৃত্যুর পর সেই জমি অবৈধভাবে দখল করেন মোহন বাবু।
আরো পড়ুন:
আল্লু-স্নেহার ‘সিনেমাটিক’ প্রেম-বিয়ে
ঘুম না আসায় ১৮টি ট্যাবলেট খেয়েছিলাম: সংগীতশিল্পী কল্পনা
২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল, করিমনগরে বিজেপি এবং তেলুগু দেশম পার্টির একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী সৌন্দর্য। বিমান দুর্ঘটনায় সৌন্দর্য ও তার ভাইও মারা যান। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার পর সৌন্দর্যের মৃতদেহও খুঁজেই পাওয়া যায়নি। গুঞ্জন রয়েছে, মৃত্যুর সময়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এই অভিনেত্রী। সৌন্দর্যের মৃত্যুর ঘটনায় এর আগে কোনো মামলা হয়নি বলেও এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
১৯৯২ সালে কন্নড় ভাষার ‘রাজধি রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সৌন্দর্য। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, হিন্দি ভাষার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে ‘সূর্যবংশম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এতে অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন সৌন্দর্য। এ জুটির রসায়নে মুগ্ধ হন ভক্ত-অনুরাগীরা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দর য র ম ত ম হন ব ব র দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
পিআইও আবুল কালাম ও স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাবনায় এক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও তার স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার উপ-সহকারী পরিচালক মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদি একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর।
মামলার আসামিরা হলেন- পাবনার সুজানগর উপজেলার হাসামপুর গ্রামের শমসের আলী মিয়ার ছেলে ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ (৪৮), তাঁর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৪৮) ও ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন (২২)। তারা বর্তমানে পাবনা পৌর শহরের সদর হাসপাতাল রোড শালগাড়িয়া এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে ২০২৪ সালের ৮ মে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করে দুদক। একই বছরের ৩ জুলাই তিনি দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
কমিশনে দাখিলকৃত তার সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দেখা যায়, সম্পদ বিবরণীতে ৯ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন আবুল কালাম আজাদ। একইসঙ্গে তিনি অসাধু উপায়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখল করছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে ২০২৪ সালের ৮ মে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করা হয়। তিনিও একই বছরের ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যালয়ে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে দেখা যায় যে, মর্জিনা খাতুন তার স্বামীর অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখল করছেন। একই মামলার দ্বিতীয় আসামি আবুল কালাম আজাদ অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রী’র নামে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যেক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া আবুল কালাম আজাদ ও মর্জিনা খাতুন দম্পতির ছেলে ফজলে রাব্বি রিয়ন এর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হওয়ায় তার প্রতি গত বছরের ৮ মে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস জারি করা হয়। তিনিও তার বাবা-মায়ের সাথে একইদিন ৩ জুলাই দুদক পাবনা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, রিয়ন তার পিতার অবৈধ আয় দ্বারা ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখল করছেন। এই মামলার আরেক আসামি তার পিতা আবুল কালাম আজাদ অসাধু উপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা তার পুত্রের নামে উক্ত জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনে প্রত্যেক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি’র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হওয়ায় ছেলে ও বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/এস