বরখাস্ত পুলিশ সুপার (এসপি) ফজলুল হকের (৪৫) বিরুদ্ধে পেশাগত কাজে বাধা প্রদান, মারপিট ও হুমকির অভিযোগে নাটোর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ অভিযোগ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। ওই সাংবাদিকের নাম কাউছার হাবীব। তিনি ভয়েস অব এশিয়া ও দৈনিক প্রান্তজনের নাটোর প্রতিনিধি। অভিযুক্ত ফজলুল হক ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত (বরখাস্ত)।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, নিজের স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় বরখাস্ত এসপি ফজলুল হক মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বেলা দুইটার দিকে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাঁকে কারাগারে নেওয়ার জন্য আদালতের বারান্দা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় অভিযোগকারীসহ অন্য সাংবাদিকেরা তাঁর ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে যান এবং ছবি তুলতে বাধা দেন। তিনি সাংবাদিকদের ও তাঁদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ওপর কিলঘুষি মারতে থাকেন। চিৎকার করে সাংবাদিকদের গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন তিনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাসদস্যরা এসে তাঁকে কারাগারে নিয়ে যান।

আরও পড়ুননাটোরে আদালতে ছবি তোলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা বরখাস্ত পুলিশ সুপারের১৯ ঘণ্টা আগে

অভিযোগকারী কাউছার হাবীব বলেন, গভীর রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে তিনি অভিযোগটি জমা দিয়েছেন।

নাটোর সদর থানার ওসি বলেন, সাংবাদিকের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরখ স ত র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রামাদান ও ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রামাদান ও ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক ইফতারসামগ্রী, উৎসবের পোশাক, গৃহস্থালি পণ্য এবং জীবনধারাসংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ২০০ স্টল অংশ নিয়েছে এ উৎসবে।

আজ বুধবার সকালে এ ফেস্টিভ্যালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উৎসবের আয়োজন করেছে এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি বছরে একটি করে মেলার আয়োজন করে। তবে এসএমইদের মার্কেটপ্লেস মেলানির্ভর হয়ে গেছে। এটা টেকসই না। বছরে একবার এবং এর সঙ্গে এ ধরনের অনুষ্ঠান ধরলে বছরে দুবার। বছরে দুটি মেলার মাধ্যমে একটা পুরো খাত, এটা পর্যাপ্ত না।

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, বাকি সময়ে উদ্যোক্তাদের মার্কেট খোঁজা এবং মার্কেটে পণ্য বিপণন করতে হয়। এটা তাদের জন্য কঠিন। তাই এ দুই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা থাকা উচিত।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, উৎসবের মূল লক্ষ্য হলো রমজান ও ঈদের আবহকে একত্রিত করে দর্শনার্থীদের জন্য এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা তৈরি করা। যেখানে থাকছে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক ইফতারসামগ্রী, উৎসবের পোশাক, গৃহস্থালি পণ্য এবং জীবনধারাসংক্রান্ত বিভিন্ন দ্রব্যাদি। এ উৎসব পরিবার, খাদ্যপ্রেমী ও ব্যবসায়ীদের জন্য এক অনন্য মিলনমেলা হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা তাদের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও বিসিএফসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, উৎসবের সহযোগী অংশীদার বিম শো-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদের প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে অতিথিরা ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে সম্মেলনকেন্দ্রের বাইরে করা উৎসবের স্টলগুলো অতিথিরা ঘুরে দেখেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ