যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা
Published: 12th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক দপ্তর তাদের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আকার কমাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের তৎপরতা চলার মধ্যে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষা দপ্তরের প্রায় ২ হাজার ১০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়তে পারেন। ২১ মার্চ থেকে তাঁদের ছুটিতে পাঠানো হতে পারে।
ট্রাম্প অনেক দিন থেকেই শিক্ষা দপ্তরকে বিলুপ্ত করতে চাইছেন। এটা রক্ষণশীলদের একাংশের দীর্ঘদিনের চাওয়া। তবে শিক্ষা দপ্তরকে বিলুপ্ত করতে হলে এ বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।
মার্কিন শিক্ষা দপ্তরের বার্ষিক বাজেটের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সেখানকার কর্মীর সংখ্যা চার হাজারের বেশি। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগ সরকারি স্কুলগুলোর তহবিল তত্ত্বাবধান, শিক্ষার্থীদের ঋণ এবং নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করে।
মার্কিন শিক্ষা দপ্তর নিয়ে একটি ভুল ধারণা আছে। তা হলো, এ দপ্তরের আওতায় মার্কিন স্কুলগুলো পরিচালিত হয় এবং এটি পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে। আসলে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (ডিস্ট্রিক্ট) এসব কাজ করে থাকে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ তহবিলের তুলনামূলক সামান্য অংশ (প্রায় ১৩ শতাংশ) কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে আসে। আর তহবিলের সিংহভাগ আসে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
মার্কিন নাগরিকদের উচ্চশিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী ঋণ দেওয়ার কাজটি পরিচালনা ও তদারকির মধ্য দিয়ে শিক্ষা দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা বিভাগের চূড়ান্ত লক্ষ্যের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী কমাতে আজ (মঙ্গলবার) বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা দপ্তরের সব বিভাগেই এ ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়বে। শিক্ষার্থী, মা-বাবা, শিক্ষক ও করদাতাদের আরও ভালোভাবে সেবা দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দপ্তরের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন সংস্থাটিতে ৪ হাজার ১৩৩ জন কর্মী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ১৫টি সংস্থার মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে কম।
ছাঁটাইয়ের পর শিক্ষা দপ্তরে ২ হাজার ১৮৩ জন কর্মী বহাল থাকবেন। এর মধ্যে এই বছরের শুরুতে অবসরে যাওয়া এবং স্বেচ্ছায় অবসরের প্রস্তাবে সম্মত হওয়া কয়েক শ কর্মীও রয়েছেন।
এক বিবৃতিতে কর্মীদের বলা হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া সবাই ৯ জুন পর্যন্ত তাঁদের স্বাভাবিক বেতন ও সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা কত দিন ধরে বিভাগে কাজ করেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে আর্থিক পাওনাও পাবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তহব ল
এছাড়াও পড়ুন:
এখানেই কি শেষ মাহমুদউল্লাহর
জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিসিবি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মার্চ মাস থেকে চুক্তিতে না রাখার অনুরোধ করেছেন মিডলঅর্ডার এ ব্যাটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলায় এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাবেন তিনি। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিম মার্চ থেকে অবনমিত হবেন ‘বি’ ক্যাটেগরিতে। মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা না দিলেও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ হতে পারে জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকছেন না।
টেস্ট ও টি২০ থেকে আগেই অবসর নেওয়ায় শুধু ওয়ানডে খেলতেন ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যাটার। তাঁর ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বাই বলে দেওয়া। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আগে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজাও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মাশরাফি আনুষ্ঠানিক বিদায় না বললেও তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গত জানুয়ারিতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশফিক।
গতকাল ঘোষিত ২২ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন তাসকিন আহমেদ। অভিজ্ঞতা ও তিন সংস্করণ খেলার কারণে ‘এ’ প্লাস ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে তাঁকে। মাসে ১০ লাখ টাকা বেতন টাইগার এ ফাস্ট বোলারের। গত বছর টেস্টের চুক্তিতে ছিলেন না তিনি। ‘এ’ ক্যাটেগরিতে থেকে থাকা ক্রিকেটারের বেতন আট লাখ টাকা। টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম আছেন ‘এ’ ক্যাটেগরিতে। গেল বছর তিন সংস্করণের চুক্তিতে ছিলেন লিটন, মিরাজ, শান্ত, শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। জাতীয় দলে না থাকায় সাকিব বাদ পড়েছেন। বাঁহাতি পেসার শরিফুলকে ‘এ’ থেকে ‘সি’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত করা হয়েছে।
অনেক বছর পর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ওয়ানডে-টি২০ খেলার কারণে ‘সি’ ক্যাটেগরিতে আছেন তিনি। জাকের আলী তিন সংস্করণে খেলার পরও ‘সি’ ক্যাটেগরিতে রাখেন নির্বাচকরা। পেস বোলার নাহিদ রানাকে সৌভাগ্যবান বলতেই হবে। টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা এ ফাস্ট বোলার নতুন হয়েও মাসে ছয় লাখ টাকা বেতন পাবেন।
মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মুশফিকুর রহিম, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদরাও ছয় লাখ টাকা বেতনের ক্রিকেটার। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ও পেসার খালেদ আহমেদকে রাখা হয়েছে ‘ডি’ ক্যাটেগরি তথা দুই লাখ টাকা বেতন গ্রেডে। মূলত টেস্ট ক্রিকেটারদের বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিসিবির এক কর্মকর্তা। মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপুকে কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে রাখার কারণ জানতে চাওয়া হলে একজন পরিচালক বলেন, ‘কে চুক্তিতে থাকবেন, তা ঠিক করেন নির্বাচকরা। তারা যাঁকে এ মুহূর্তের চুক্তিতে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেছেন, তারা আছেন।’