গাজীপুরের শ্রীপুরে একতা কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি সুতা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ উত্তর পাড়া এলাকার ওই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, সকালে কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তারা দেখতে পান সিলিংয়ে আগুন জ্বলছে। পরে তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে শ্রমিকরা দ্রুত কারখানা থেকে বের হয়ে যান।

আরো পড়ুন:

আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ড, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা

দুই ঘণ্টার আগুনে নিঃস্ব চট্টগ্রামের শতাধিক ব্যবসায়ী

কারখানা মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, “আজ সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে কারখানায় আগুন লেগেছে বলে ধারণা করছি।  ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আস। হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, “সকাল পৌনে ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে অনড় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ

নারায়ণগঞ্জে রমজানে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।

সরজমিন ঘরে দেখা গেছে বুধবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে কাঁচপুর, মদনপুর, মোগড়াপাড়া, লাঙ্গলবন্দসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় কোথাও গাড়ির চাপ বা জট নেই। সকলেই স্বস্তির রমজানে চলাচল করছেন। 

এর মধ্যে যারা গন্তব্যে যাওয়ার মত তারা নির্বিঘ্নে যাচ্ছেন। এরকম মহাসড়কের দৃশ্য দেখে যাত্রীদের পাশাপাশি খুশি যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকা ট্রাফিক পুলিশও।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ পুলিশের  অভিজ্ঞতা, মেধা ও অন্যান্য সার্জেন্টসহ ট্রাফিক সদস্যদের কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে মহাসড়ক যানজট মুক্ত রয়েছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা।

কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মহাসড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চোরাই তেলের দোকান ও অবৈধ যান চলাচলে বাঁধা দিলেই আমাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালায় একটি চক্র। নিজেদের স্বার্থে অন্যের উপর দোষ চাপানোর প্রবনতা দূর করতে হবে।

হাইওয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে মহাসড়কের পাশে চোরাই তেল বেচাকেনা ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ আরো বলেন, যে বা যারা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করা হবে।

কাঁচপুর পরিবহন কাউন্টারের এক শ্রমিক ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিবছর রোজার প্রথম থেকেই মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা গেলেও এবার চোখে পড়েছে ভিন্ন চিত্র। আগে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকতো এবার তার উল্টো চিত্র মহাসড়ক একেবারেই যানজট মুক্ত। ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীর ফিরছেন গন্তব্যে।  

বাড়ি ফেরা ষাটোর্ধ্ব এক নারী যাত্রী মাহমুদা আক্তার জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত হওয়ায় এবারের গন্তব্যে ফেরার অনুভুতিটাই অন্যরকম। পথে পথে নেই ভোগান্তি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এত দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হবে কখনো ভাবতে পারিনি।

আগে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা এ সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকতো এখন আর তা নেই। যানজট কম হওয়াতে যাত্রীসহ সকলের ভোগান্তি অনেক কমেছে।

তবে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের আশংকা ঈদের ছুটির দিন থেকে পরিবহনের চাপ বাড়লে যানজট সৃষ্টি হতে পারে। তবে ঈদের আগে ও পরের সাতদিন বর্তমান সময়ের মতো ট্রাফিক পুলিশ তাদের কর্মদক্ষতা অব্যাহত রাখলে যানজটমুক্ত থাকা সম্ভব। 

কথা হয় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ এর সাথে। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রমজানের শুরু থেকেই যানজট মুক্ত মহাসড়ক এবং স্বস্তিদায়ক যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমি এবং আমার হাইওয়ের প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করছে যাত্রীরা। ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটের চিরচেনা রুপ। 

চলতি কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখা এবং সকলকে যানজট মুক্ত মহাসড়ক উপহার দেওয়াই এবারের মূল লক্ষ্য বলে তিনি আরো জানান।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ