ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেক-সোহরাওয়ার্দীর বর্হিবিভাগ সেবা বন্ধ
Published: 12th, March 2025 GMT
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বর্হিবিভাগ সেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বুধবার পাঁচ দফা দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে গেলে হাসপাতাল দুটির চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকদের কর্মসূচির কথা জানা না থাকায় সেখানে সকাল থেকে রোগীদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চলে যাচ্ছেন, অনেকে আবার সেখানেই ঘোরাঘুরি করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বুধবার সারা দেশে মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করবে। একই সঙ্গে সরকারি বেসরকারি সব হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর সেবা ও বৈকালিক চেম্বার বন্ধ থাকবে।
তারা আরও জানান, বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ হবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ হবে।
যে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন চিকিৎসকেরা, সেগুোল হলো—
১.
২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস/বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না।
৩. মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্সের কারিকুলাম সংস্কার এবং মানহীন ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধ করতে হবে।
৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের শূন্যপদ পূর্ণ করতে হবে এবং বিসিএস বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক চ ক ৎসকদ র ন চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরে মিয়া রাস্তার মাথা এলাকার লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশ থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এর আগে, শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এসময় নবজাতককে দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই পুলিশ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা হাসপাতালে যান শিশুটির খোঁজ নিতে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু
ছেলে সন্তানের জন্ম দিল ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী
মিয়া রাস্তা এলাকার বাসিন্দা কামাল মাঝি বলেন, “অন্ধকার থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসে। প্রথমে চমকে উঠি। পরে শিশুটিকে কোলে নেই। শিশুটিকে দেখতে মানুষজনও জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা কেউই দেখেননি।”
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, “শিশুটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তাকে দেখবেন। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো বলতে পারবেন।”
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও জামসেদ আলম রানা বলেন, “শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। পরিচয় না মিললে আমরা চট্টগ্রাম শিশু নিবাসে তাকে হস্তান্তর করব। কেউ যদি শিশুটিতে নিতে চান, তাহলে আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ