গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকে গ্লোবাস ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু, শ্রমিকরা সড়ক না ছাড়ায় পুলিশ টিয়ারশেল-সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ের ওই মহাসড়ক ব্যবহারকারী গণপরিবহনের যাত্রী ও পথচারীরা। তবে বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘‘গ্লোবাস ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার এক নারী শ্রমিককে নির্যাতনের অভিযোগ ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন শ্রমিকরা। প্রথমে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। পরে সাউন্ডগ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, গত শনিবার গ্লোবাস ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার এক নারী শ্রমিককে নির্যাতনের প্রতিবাদ করা হয়। এ সময় আরো কিছু দাবি করা হয়। সেই সময় কর্তৃপক্ষ সব দাবি মেনে নিলেও পরদিন কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন।

এদিকে গতকাল কারখানার প্রধান ফটকে একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে বলা হয়েছে, শ্রম আইনের ১৬ ধারা অনুযায়ী বুধবার থেকে গ্লোবাস কারখানা লে অফ ঘোষণা করা হলো।

এ ঘোষণার পরে শ্রমিকরা আজও মহাসড়ক অবরোধ করেন বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ধ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৮৫ টাকা, সর্বোচ্চ ২৩১০

রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বুধবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসায় ফিতরা নির্ধারণের লক্ষ্যে আলেমদের এক বৈঠক হয়।

বৈঠকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যালোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গম বা আটার গড়মূল্য প্রতি কেজি ৫০ টাকা ধরে ১.৬৫০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ টাকা। যবের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৮০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ২৬৫ টাকা।

মধ্য মানের খেজুরের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৬০০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা। মধ্য মানের কিশমিশের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৫০ টাকা। পনিরের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৭০০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩১০ টাকা।

বৈঠকের সঞ্চালক ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, ফিতরার নির্ধারিত পণ্যমূল্যের সঙ্গে ১-২ টাকা যোগ করে আদায়যোগ্য টাকার অংককে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত উলামায়ে কেরামগণ সর্বনিম্ন ফিতরাকেই আদর্শ না ধরে সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি পরিমাণ ফিতরা আদায়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ, জামিয়া ইসলামিয়া মিয়া মোহাম্মদ কাসেমী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মো. নেক আহমাদ, জামিয়া দারুল উসওয়াহ রাজশাহীর মুহাদ্দিস মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান কাসেমী, দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মুফতি যাকারিয়া হাবিবী এবং সাহেববাজার বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল গণী।

সভায় রাজশাহীর দারুল উলুম মালোপাড়া মাদ্রাসা, জামেয়া ওসমানিয়া মাদ্রাসা, হামাউস সুন্নাহ মুশরইল মাদ্রাসা, জামেয়া সদ্দিকিয়া চণ্ডীপুর মাদ্রাসা, দারুল আরকাম রায়পাড়া মাদ্রাসা প্রতিনিধিবৃন্দ ও শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ