অবৈধ অভিবাসীদের এবার নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার সুযোগ দিতে সিবিপি হোম নামে একটি ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ অ্যাপ চালু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই অ্যাপের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারবেন। আর সেক্ষত্রে তাদের কোনো ‘কঠোর পরিণতি’ হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার পেট্রোল।

ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডিপোর্টেশন নীতিতে গতি আনতে ট্রাম্প প্রশাসন সোমবার (১০ মার্চ) থেকে এই নতুন অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম এক বিবৃতিতে বলেন, “সিবিপি হোম অ্যাপটি অনাকাঙ্ক্ষিতদের এখনই চলে যাওয়ার এবং স্বেচ্ছায় ফেরত যাবার বিকল্প দেবে, যাতে তারা ভবিষ্যতে বৈধভাবে ফিরতে পারে এবং আমেরিকান স্বপ্ন বাঁচাতে পারে। যদি তারা তা না করে তবে আমরা তাদের খুঁজে বের করব, নির্বাসন দেব এবং তারা আর কখনও ফিরে আসতে পারবে না।”

আরো পড়ুন:

আমি আলোচনায় বসব না, আপনার যা ইচ্ছা করুন: ট্রাম্পকে ইরানের প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইউক্রেন

এই অ্যাপটি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে নাম ছিল সিবিপি ওয়ান, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে আশ্রয় পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত ২০ জানুয়ারি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই সিবিপি ওয়ান অ্যাপটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে মেক্সিকোয় মার্কিন অভিবাসন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা প্রায় ৩০ হাজার মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছিলেন।

সোমবার (১০ মার্চ), ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, এখন তারা এই অ্যাপটিকে ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ বা  ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন’-এর প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গড়ে তুলছে। এর মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা সম্ভাব্য গ্রেপ্তার ও আটকের মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যেতে পারবেন।

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ‘সেলফ ডিপোর্টেশন’ অ্যাপ চালু করলো ট্রাম্প প্রশাসন

ট্রাম্প প্রশাসন অন্যান্য পদক্ষেপও নিয়েছে যা অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে চাপ দিতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নিয়ম ১১ এপ্রিল কার্যকর হতে যাচ্ছে, যা অবৈধ অভিবাসীদের ফেডারেল সরকারের সঙ্গে নিবন্ধন করতে বাধ্য করবে, অন্যথায় তাদের জরিমানা বা কারাদণ্ডের মুখে পড়তে হবে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চারুকলায় মোটিফ পোড়ানোর ঘটনায় উপদেষ্টা ফারুকীর কঠোর বার্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। 

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ বিষয়ে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্টে একটি পোস্ট করেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনার দোসররা গতকাল ভোর রাতে চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়ে দিয়েছে। এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে- সফট আওয়ামী লীগ হোক বা আওয়ামী বি টিম হোক- তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আসতে হবে, দ্রুত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই শোভাযাত্রা থামানোর চেষ্টায় আওয়ামী লীগের হয়ে যারা কাজ করছে, আমরা শুধু তাদেরকে আইনের আওতায় আনবো তা না, আমরা নিশ্চিত করতে চাই এবারের শোভাযাত্রা যেনো আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘কালকে রাতের ঘটনার পর হাসিনার দোসররা জানিয়ে দিয়ে গেল বাংলাদেশের মানুষ এক হয়ে উৎসব করুক তারা এটা চায় না। আমরা এখন আরও বেশি ডিটারমাইন্ড, এবং আরও বেশি সংখ্যায় অংশ নিব।’

উপদেষ্টা ফারুকী লেখেন, ‘গত কিছুদিন জুলাই আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই বলেছিলেন, এবারের শোভাযাত্রা সবচেয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভিন্ন রকমের হচ্ছে। এখানে ফ্যাসিবাদের ওই বিকট মুখ না রাখাই ভালো। আমরাও সব রকম মত নিয়েই ভাবছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মত জানার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কালকের ঘটনার পর এই দানবের উপস্থিতি আরও অবশ্যাম্ভাবী হয়ে উঠল। জুলাই চলমান।’

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে ৫টার মধ্যে এই মোটিফ দুটিতে আগুন লেগেছে বলে জানান প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ।

সকালে চারুকলা অনুষদে সরেজমিনে গিয়ে এমনটি দেখা যায়। অনুষদের যেখানে মোটিফ তৈরির কাজ চলছিল সেখানে আগুন লেগে এগুলো পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। আগুনে দানবীয় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’র মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শান্তির পায়রা মোটিফটিও আংশিক পুড়ে গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে পাঁচটার মধ্যে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তখন দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়ত এ কাজটি করা হয়েছে।

দুটি মোটিফ পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোরে আগুন লেগে এমনটি হয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ