পাঁচ দাবিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতিতে গেছেন ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা। এর ফলে ঢাকা মেডিকেলের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ কর্মসূচি চলছে। ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগে বন্ধ আছে। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিপদে পড়েছেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ‘সর্বস্তরের চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে দিনভর কর্মসূচি পালনের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। পাঁচ দাবিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক নাদিম হোসাইন।

ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি এবং বর্হিবিভাগ বন্ধ থাকায় চরম বিপদে পড়েছেন রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন রোকসানা বেগম। তিনি চর্ম রোগে অক্রান্ত বলে জানালেন।

মুন্সীগঞ্জ থেকে ১৬ মাস বয়সী শিশুকে নিয়ে এসেছেন মা সায়মা বেগম। তিনি বলছিলেন, টিকেট কাটার পরও বাচ্চাকে দেখাতে পারেন নি।

ঢাকা মেডিকেলের বর্হিবিভাগ সূত্র বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জানায়, প্রতিদিন এ সময় অন্তত ৭০০ টিকেটে বিক্রি হয়ে যায়। আজ এখন পর্যন্ত অনলাইন ও সরাসরি মিলে ১৯০টি টিকেট বিক্রি হয়েছে।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক শরিফুল হাসান রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, সকাল নয়টা থেকে তাঁদের কর্মবিরতি চলছে। সোহরাওয়ার্দী ও ঢাকা মেডিকেলের পাশাপাশি মিডফোর্ট হাসপাতালের বর্হিবিভাগও বন্ধ আছে।

এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না- এমন দাবি তুলে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবিতে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টেইনি চিকিৎসকরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ বর হ ব ভ গ ইন ট র ন চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি

লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা নবজাতককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে জেলা শহরে মিয়া রাস্তার মাথা এলাকার লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পাশ থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। 

এর আগে, শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এসময় নবজাতককে দেখতে আশপাশের মানুষজন ভিড় জমায় ঘটনাস্থলে। পরে রাতেই পুলিশ শিশুটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা হাসপাতালে যান শিশুটির খোঁজ নিতে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শরীফ হোসেন।

আরো পড়ুন:

রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েদির মৃত্যু

ছেলে সন্তানের জন্ম দিল ‘ধর্ষণের শিকার’ কিশোরী

মিয়া রাস্তা এলাকার বাসিন্দা কামাল মাঝি বলেন, “অন্ধকার থেকে হঠাৎ শিশুর কান্না ভেসে আসে। প্রথমে চমকে উঠি। পরে শিশুটিকে কোলে নেই। শিশুটিকে দেখতে মানুষজনও জড়ো হতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়। কে বা কারা শিশুটিকে ফেলে গেছে তা কেউই দেখেননি।”

সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, “শিশুটিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসে তাকে দেখবেন। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আরো ভালো বলতে পারবেন।”

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ইউএনও জামসেদ আলম রানা বলেন, “শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সরকারি দায়িত্বে সে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। পরিচয় না মিললে আমরা চট্টগ্রাম শিশু নিবাসে তাকে হস্তান্তর করব। কেউ যদি শিশুটিতে নিতে চান, তাহলে আদালতের মাধ্যমে দেওয়া হবে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: মারধরের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
  • ভোলা জেনারেল হাসপাতাল: হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে চিকিৎসক ও নার্সদের কর্মবিরতি
  • প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া গেলেন গবির ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
  • লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
  • দেশে ফিরেই মিরপুর স্টেডিয়ামে তামিম