যশোরের বেনাপোলে দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল ছিটকে খাদে পড়ে এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা আরেক বিজিবি সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে যশোরের বেনাপোল বন্দর থানার বারোপোতা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বিজিবির সদস্য হলেন মোজাম্মেল হক (২৮)। তাঁর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামে। তিনি খুলনা ২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীন পুটখালী সীমান্তচৌকিতে সেপাই পদে কর্মরত ছিলেন। আহত বিজিবি সদস্যের নাম দেলোয়ার হোসেন (৩৮)। তিনি পুটখালী সীমান্তচৌকিতে হাবিলদার পদে কর্তব্যরত। এ তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি পুটখালী সীমান্তচৌকির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মুন্সি সলিমুল্লাহ বলেন, মোটরসাইকেল খাদে পড়ে সেপাই মোজাম্মেল হক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন।

বিজিবি ও স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, গতকাল সন্ধ্যায় পুটখালী বিজিবি সীমান্তচৌকি থেকে মোটরসাইকেলে চড়ে সেপাই মোজাম্মেল হক এবং সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বারোপোতা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন মোজাম্মেল হক। মোটরসাইকেলটি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বারোপোতা বাজার এলাকায় মসজিদ বাড়ি বিজিবি পোস্টের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং ছিটকে পাশের খাদে গিয়ে পড়ে। মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান।

স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির সদস্যরা ওই দুজনকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে আটটার দিকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোজাম্মেল হককে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত দেলোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। রাতেই তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম জ ম ম ল হক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে পোশাক তৈরি কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আল ফাহাদ ট্রেড লাইন্স নামে এক পোশাক তৈরি  কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১২ মার্চ)  ভোরে মদনপুর ইউপির দেওয়ানবাগ এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময়  মুখোশদারি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল লুটে নেয় নগদ ১৩ লাখ টাকা সহ ২২ লাখ টাকার মালামাল ।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) আসিফ ইমাম ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বস্ত করেন তিনি।

কারখানার স্টোর কিপার আব্দুল  হান্নান জানান,  ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে  কারখানার পিছনের দরজা দিয়ে ১০/১২ জনের একটি মুখোশদারি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে কারখানায় প্রবেশ করে।  

তারপর গার্ডদের  হাত পা বেধে সিসি ক্যামেরা ও মেশিনারিজ খুলে ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। 

পরে অফিস কক্ষগুলোতে ঢুকে ভল্ট, লকার ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩টি কম্পিউটার, ১টি সিসিটিভির মনিটর, স্টোরেজ মেশিন, ১টি জেনারেটর, ৬টি মোবাইল সেট,  ৪ লাখ টাকা মূল্যের ১টি গরু ও যন্ত্রপাতিসহ মোট ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে  নিয়ে যায়।

কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, গত বছরের ৩ জুলাই একই কায়দায় ডাকাতদল অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকা  মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। একের পর এক ডাকাতির  ঘটনায়  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি  অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ