মরদেহ রাতেই ঢাকায় আসছে, শায়িত হবেন বনানী কবরস্থানে
Published: 12th, March 2025 GMT
বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মরদেহ আজ বুধবার রাতেই দেশে আনা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে আজ রাত ১০টা ২০ মিনিটে তাঁর মরদেহ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে এ তথ্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন মরহুমের ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ৮৩ বছর বয়সে আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩১ মিনিটে (সিঙ্গাপুর সময় ৯টা ৩১ মিনিট) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুরে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর সময় সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মেয়ে মুনিজে মঞ্জুর।
সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ রাতে তাঁর বাবার মরদেহ দেশে আনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামীকাল বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে দাফন করা হবে বনানী করবস্থানে আমাদের মায়ের (নিলুফার মঞ্জুর) কবরের পাশে।’
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৬৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে চামড়ার ব্যবসায় যুক্ত হওয়া সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ছিলেন চামড়া খাতের সফল ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশে উৎপাদিত চামড়ার জুতার বিদেশযাত্রা (রপ্তানি) শুরু। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের জুতার বাজারেও অন্যতম শীর্ষস্থানে আছে তাঁর প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স।
ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের সঙ্গে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
অসময়ে ভাঙছে যমুনা, দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ
পাবনার বেড়ায় অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে যমুনা নদীতে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। গত দুই মাসের অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, ঘরবাড়িসহ কৃষিজমি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বালুখেকোরা ড্রেজার দিয়ে নদীর তলদেশে বালু তোলায় অসময়ে ভাঙছে যমুনা। ধীরে ধীরে বসতভিটার দিকে এগিয়ে আসছে নদী।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। চরাঞ্চলের গ্রামটিতে এবার অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শুধু নেওলাইপাড়া গ্রামই নয়। পার্শ্ববর্তী নতুন বাটিয়াখড়া ও মরিচাপাড়া গ্রামেরও একই চিত্র। নদী তীরবর্তী তিনটি গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস। নদী ভাঙনে গত দুই বছরে প্রায় পাঁচশ পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। বিলীন হয়েছে প্রায় এক হাজার বিঘা জমি।
নদীপাড়ের বাসিন্দা নেওলাইপাড়া গ্রামের ইমদাদুল হক বলেন, ‘‘নদী আগে অনেকদূর ছিল। ভাঙতে ভাঙতে কাছে চলে আসছে। নদীর স্রোতও ছিল অনেকদূরে। গতিপথ পরিবর্তন করে তীরবর্তী এলাকায় স্রোত হচ্ছে। ফলে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে।’’
সালেহা খাতুন ও মজিরন বেওয়া বলেন, এভাবে ভাঙতে থাকলে তো আমাদের বাড়িঘর, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান নদীর পেটে চলে যাবে। সরকার থেকে কিছু একটা না করলে তো আমাদের সব শেষ হয়ে যাবে। ভাঙন ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
বাটিয়াখড়া গ্রামের বাসিন্দা আফতাব হোসেন বলেন, ‘‘বিগত বছরগুলোতে নদীর পেটে এক হাজার বিঘার মতো জমি চলে গেছে। বসতভিটা হারিয়েছে ৫শ পরিবারের মতো। একটি অসাধু চক্র নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু তোলার কারণে অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’’
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ‘‘গত সোমবার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কাজ বাস্তবায়নের জন্য অনুমতি পাওয়া গেছে। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু করব।’’
ঢাকা/শাহীন/রাজীব