Prothomalo:
2025-03-12@12:02:39 GMT

স্প্যানিশ বন্ধুদের প্রতি

Published: 12th, March 2025 GMT

আমাকে বেসো না ভালো, বুনুয়েল, বন্ধু প্রবাসে:

সময়ের হাড় ঝুলে থাকা সীমান্তে পাখিরা খুনি;

আমরা বেলুনে লীন ঘাম—টুপটাপ যাব ঝরে এক্ষুনি:

আন্দালুসীয় হরিণীর চোখ কাটা ক্ষুর নির্বাক হাসে

আমাকে ডেকো না আড্ডায়, লোরকা, সন্ধ্যা গনগনে লাল;

আলো-নিহত টিস্টলে দোল খায় গোথিক মহাকাল:

অক্টোপাসের আঙুলে কবিতা—কাতরতা-কাঙাল

হয়ে নির্বিচার করে গুলি, রক্তবিবাহের মগডাল

ভেঙে ঝুলে থাকা ফুলেরা গুমোট-তরঙ্গমাতাল;

আমাকে ডেকো না গোরের ঘোরে—গুল্মমাতা কঙ্কাল

আমাকে ভেবো না ভাই, দালি, পরাবাস্তব শরবতে:

গলন্ত সময়ের তরলে ঝলসে আছে পারাপার;

কার কোল থেকে ঝরে পড়া হাসি—চকিত সন্ত্রাস সার!

মানুষ প্রাচীন গাছ হয়ে কাঁদে—চির অক্ষত ক্ষতে

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামীকাল বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। মূলত রোহিঙ্গা বিষয় নিয়েই তাঁর এবারের সফর। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করবেন। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন আন্তোনিও গুতেরেস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী সফরসূচি তুলে ধরেন উপ–প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস আগামীকাল বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে। এর মধ্যে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি সেই দিন রোহিঙ্গা শিবিরে চলে যাবেন। একই সঙ্গে কক্সবাজারে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার আলাদা কর্মসূচি আছে। আর জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সেখানে তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।

আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।’

উপ–প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, পরদিন শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি সকালে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সফর। বাংলাদেশে এটি তাঁর দ্বিতীয় সফর হবে। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।

এদিকে আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে ১৩ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে সফরকালীন জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ