পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে, সূচকের উত্থান
Published: 12th, March 2025 GMT
চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই-সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন চলছে। এদিন বেলা ১২টা পর্যন্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বেড়েছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, বুধবার লেনদেন শুরুর পর দুই ঘণ্টায় ডিএসইর ডিএসইএক্স সূচক ১৮.
এ সময়ে ৩৮৩টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৩টির।
আরো পড়ুন:
বিএসইসি চেয়ারম্যান-কলম্বো স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান সাক্ষাৎ
ফার্স্ট ফাইন্যান্সের সিইও হলেন আব্দুল বারী
অন্যদিকে, সিএসইর সিএসইএক্স সূচক ২১.৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছিল ৮ হাজার ৮২০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএএসপিআই সূচক ৩০.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫৩২ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক সিএসআই ২.৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৯৪৮ পয়েন্টে এবং সিএস৩০ সূচক ৯.৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৩৮৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
এ সময়ে ১৪১টি কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ২৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৭টির।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবস থ ন করছ ল ল নদ ন এ সময় স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা অফিস করেনি, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
মামলায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ১৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অফিস করেননি। মূলত গ্রেপ্তার এড়াতে তারা অফিসে আসেননি। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৯ মার্চ) বিএসইসির কার্যালয় সরেজমিন ঘুরে এবং শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযুক্ত বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে তিনটি টিম করছে বলে রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম আজম।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে কমেছে লেনদেন, সিএসইতে বেড়েছে
ডিএসইতে দাম কমার শীর্ষে এস আলম কোল্ড
তিনি বলেন, “আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তারা কেউ বাসায় নেই, অফিসও করেননি। এজন্য বিভিন্ন জায়গায় টিম পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান চলছে।”
তবে রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সাংবাদিকদের বলেন, “আজ এখানে গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা এসেছিলেন। তারা আমাদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজে ফিরে এসেছেন। আমরা সবাইকে বলেছি, কাজে যোগদান করতে। আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব। সবাই কাজে যোগদান করলে, কাজ স্বাভাবিক নিয়মে চলে চলবে।”
কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, “এখনো সেই সময় হয়নি।”
যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা কি করবে-এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, “পরবর্তীতে আলোচনা করে আরো বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে।”
বুধবার (৫ মার্চ) বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।
মামলার আসামিরা হলেন-বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।
ঢাকা/এনটি/এসবি