ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। অভিনেত্রী সারা আলী খানের সঙ্গে তার প্রেম নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। তারপর এ অভিনেতার নাম জড়ায় অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে। কিছু দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী শ্রীলীলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কার্তিক। আর এ গুঞ্জনের আগুনে ঘি ঢেলেছেন অভিনেতার মা।

কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত হয় আইফা অ্যাওয়ার্ড। এ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কার্তিক আরিয়ানের মা মালা তিওয়ারি। সেখানে পরিচালক-সঞ্চালক করন জোহর কার্তিকের মায়ের কাছে জানতে চান, পুত্রবধূ হিসেবে কাকে আপনার পছন্দ? এ প্রশ্ন শোনার পরই দর্শক সারি থেকে সমস্বরে বলতে থাকেন— অনন্যা। কিন্তু কার্তিকের মা বলেন, “না না। সে (কার্তিক) একজন ডাক্তারের কথা বলেছে।” 

এ কথা শোনার পরই করন জোহর চলে যান কার্তিকের কাছে। তার কাছে জানতে চান, “তুমি একজন ডাক্তারের সঙ্গে কাজ করছো?” জবাবে কার্তিক আরিয়ান বলেন, “না না, সত্যিকারের ডাক্তারের কথা বলেছি।”    

আরো পড়ুন:

গোবিন্দকে কেন গালিগালাজ করেছিলেন কাদের খান?

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না করার কারণ জানালেন কারিনা

২০০১ সালের ১৪ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীলীলা। ২০২১ সালে সেখানে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। পরবর্তীতে বড় পর্দায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী। 

অনুরাগ বসু পরিচালিত নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমায় অভিনয় করছেন শ্রীলীলা ও কার্তিক আরিয়ান। শোনা যাচ্ছে, সিনেমাটির নাম ‘আশিকি থ্রি’। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি এই নির্মাতা। তবে নেটিজেনরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করেননি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক র ত ক আর য় ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল দর্শনার্থী কার্ড চালু হচ্ছে শেবাচিমে

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চালু হতে যাচ্ছে দর্শনার্থী কার্ড। সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে আগামী সপ্তাহে হাসপাতালের মেডিসিন ভবনে প্রাথমিকভাবে এই কার্ডটি চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা পুরো হাসপাতালে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং অতিরিক্ত দর্শনার্থী ঠেকাতে এই কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর। 

১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৬০ শয্যার অবকাঠামো নিয়ে নির্মিত হয় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বর্তমানে এই হাসপাতালে প্রতি একজন রোগীর সঙ্গে ৪-৫ জন দর্শনার্থী অথবা স্বজন অবস্থান করেন। দিনদিন রোগী ও রোগীর স্বজনদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় হাসপাতালের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। ফলে মানুষের অতিরিক্ত চাপে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসার পরিবেশ নিশ্চিত করতে দর্শনার্থী কার্ড চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

‘মাদক সেবন’ দেখে ফেলায় উপড়ে ফেলা হলো ২ চোখ

ডেলিভারি সময় নবজাতকের মাথা বিচ্ছিন্ন, তদন্ত কমিটি গঠন  

শেবাচিম-এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর 

হাসপাতালের মেডিসিন ভবনের দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ড মাস্টার জুয়েল চন্দ্র শীল বলেন, “মশিউল মুনীর স্যার সম্প্রতি মেডিসিন ভবনে চিকিৎসক, সেবিকা ও রোগীদের জন্য একাধিক পৃথক টয়লেট ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে নতুন জানালার ব্যবস্থা করেছেন। এই ভবনে আরো সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দর্শনার্থী কার্ড বা গেট পাশের ব্যবস্থা চালু করছেন পরিচালক স্যার। ইতোমধ্যে দর্শনার্থী কার্ড সম্পর্কে নিয়ম ও শর্তাবলি ব্যানার আকারে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থার নিয়মে বলা হয়েছে- দর্শনার্থী কার্ড ব্যতীত হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। ১০০ টাকা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে, কার্ড জমা দিয়ে ১০০ টাকা ফেরত নেওয়া যাবে। একজন রোগীর জন্য সর্বোচ্চ দুইটি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে। কার্ডের মেয়াদ ৭দিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ কার্ড ব্যবহার করলে ১০০টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।

হাসপাতালের সরকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন, “দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হলে এই হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার দর্শনার্থীর চাপ কমে যাবে। আগামী সপ্তাহেই প্রাথমিকভাবে মেডিসিন ভবনে দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু হবে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে পুরো অন্তঃবিভাগে এই নিয়ম চলবে।” 

তিনি আরো বলেন, “হাসপতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর স্যারের নির্দেশে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে দর্শনার্থী কার্ড বিতরণ করা হবে। কম্পিউটারে কবে থেকে রোগীর লোকজন কার্ড ব্যবহার করছেন সেসব তথ্য লিপিবদ্ধ করা থাকবে।”

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম মশিউল মুনীর বলেন, “অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে হাসপাতালে চিকিৎসার সুষ্ঠু পরিবেশ ব্যাহত হয়। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালে যেন অতিরিক্ত দর্শনার্থী প্রবেশ না করতে পারে, সেজন্য দর্শনার্থী কার্ড ব্যবস্থা চালু করা হবে। ভিজিটিং আওয়ারে (বিকেল ৩টা থেকে ৫টা) দর্শনার্থীরা কার্ড ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাসপাতালের পরিবেশ উন্নয়নে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২
  • আইসিসির পরোয়ানায় গ্রেপ্তার হলেও দুতার্তের বিচার করা কি সম্ভব হবে
  • উচু করা হচ্ছে সীমানা প্রাচীর বেষ্টনী, চারদিকে বসছে কাঁটাতারের বেড়া
  • হাবীবুল্লাহ বাহারের উপাধ্যক্ষকে হত্যা, ফরিদপুর থেকে দম্পতি গ্রেপ্তার
  • ছাত্রশিবির অতিমাত্রায় পলিটিক্স পছন্দ করে না: নুরুল ইসলাম
  • দুপুরে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর ডাকাতি 
  • প্রবাসীদের জন্য প্রক্সি ভোটসহ তিন পদ্ধতি নিয়ে এগোচ্ছে ইসি
  • ‘লক্ষ্মীসোনা’ ৮ কোটি পার, পাঁচ লাখের বেশি লাইক
  • ডিজিটাল দর্শনার্থী কার্ড চালু হচ্ছে শেবাচিমে