Prothomalo:
2025-03-12@12:26:18 GMT

স্নানঘরে

Published: 12th, March 2025 GMT

রেখা ধরে ধরে আমি চলে যাই ফের

                  স্নানঘরে

স্নায়ুজল মাখি তার সুবর্ণরেখায়

বিজন বিহারী আলো দিনের বাহিরে ছিল

চাপকলের চকিত চোখ! চিবুকে গড়িয়ে পড়ে

                  সিক্তস্বরে

গুপ্তসভা থেকে তার বের হয়ে আসে

রাত্রির গোপন গান

কে নিয়ে আসতে পারে এমন সুবাস? সাবান?

কেউ নয়, সে যে এক বিমুগ্ধ অসুখ  

             বুকে যার বকুল-বাগান

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চায় বাজুস

সারা দেশে স্বর্ণ ও জুয়েলারির দোকানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও সশস্ত্র হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। গত আট মাসে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কমপক্ষে ১৭টি জুয়েলারি দোকানে এ ধরনের হামলা হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।

চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলেও সম্প্রতি সরকারের পদক্ষেপের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। খবর বিজ্ঞপ্তি

বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসেই সারা দেশে ১১টি জুয়েলারি দোকানে চুরি-ডাকাতি হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো গত ৩ জানুয়ারি সীমান্ত সম্ভার মার্কেটে ক্রাউন ডায়মন্ড অ্যান্ড জুয়েলার্স থেকে ১৫৯ ভরি সোনার অলংকার, ৯ জানুয়ারি সিলেটের নুরানী জুয়েলার্স থেকে ২৫০ ভরি সোনা, একই দিন ফরিদপুরের প্রগতি জুয়েলার্সে ভরদুপুরে চুরির চেষ্টা, ১২ জানুয়ারি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ঐশী জুয়েলার্স থেকে ৬০ ভরি সোনার অলংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা, ২৪ জানুয়ারি ঢাকার হাজারীবাগের ইতি জুয়েলার্স থেকে ৭০ ভরি সোনার অলংকার, ৯ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ২৫ ভরি সোনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের পুষ্পিতা জুয়েলার্স থেকে ১৪ ভরি সোনা ও নগদ ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা ডাকাতি করা হয়।

এ ছাড়া গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বনশ্রীতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় নিজ বাসার সামনে থেকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ও ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

বিবৃতিতে বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো বারবার অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এই সংকট সমাধানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় নিরাপত্তার স্বার্থে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি পুলিশি টহল ও সিসিটিভি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা জরুরি।

বাজুসের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, দিনদুপুরে ডাকাতি ও হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ীরা অস্থির। সম্প্রতি মিরপুর-১০–এর শাহআলী প্লাজায় জুমার নামাজের সময় ১৪-১৫ সদস্যের ডাকাত চক্র তালা ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা করে। এসব ঘটনায় বাজুস জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের আশপাশে পুলিশি টহল বৃদ্ধি, অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য পৃথক নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।

সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক নিরাপত্তা উদ্যোগের জন্য সংগঠনটি কৃতজ্ঞতা জানালেও বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বাজুস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ