খাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, পদ সংখ্যা ১৭৯১
Published: 12th, March 2025 GMT
খাদ্য অধিদপ্তরসহ এর অধীন রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগে পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই অধিদপ্তরে ২৫ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে ১ হাজার ৭৯১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তবে ৩১ আগস্ট ২০২৩ তারিখের ১৩.০১.০০০০.০৩১.১১.০০৫.২২.৮০২ নম্বর স্মারকে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে যারা আবেদন করেছেন, তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
১.
পদের নাম: উপখাদ্য পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৪২৯
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
২. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। সাঁটলিপির গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ৫০ ও ইংরেজিতে ৮০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরের গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ২৫ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৩
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। সাঁটলিপির গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ৪৫ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরের গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ২৫ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী
পদসংখ্যা: ২৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম: অডিটর
পদসংখ্যা: ৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৬. পদের নাম: হিসাবরক্ষক কাম ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৭. পদের নাম: ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ৭
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে রসায়ন বিষয়সহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৮. পদের নাম: মেকানিক্যাল ফোরম্যান
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এসএসসি বা সমমান পাস। অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট ট্রেড বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স। অথবা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বা ইনস্টিটিউট থেকে অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট ট্রেড বিষয়ে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। কোনো ফার্ম বা ওয়ার্কশপে অপারেটর ও তত্ত্বাবধানসংক্রান্ত কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৯. পদের নাম: ইলেকট্রিক্যাল ফোরম্যান
পদসংখ্যা: ৩
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এসএসসি বা সমমান পাস। ইলেকট্রিক্যাল হাউস ওয়্যারিং বা ইলেকট্রিক্যাল লাইন মেইনটেন্যান্স বা মেইনটেন্যান্স অব ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট বা জেনারেল ইলেকট্রিশিয়ান বা ইলেকট্রিশিয়ান বা ইলেকট্রিক্যাল মেশিন মেইনটেন্যান্স বা জেনারেল ইলেকট্রনিকস ট্রেড বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স। অথবা কোনো কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে ইলেকট্রিক্যাল হাউস ওয়্যারিং বা ইলেকট্রিক্যাল লাইন মেইনটেন্যান্স বা মেইনটেন্যান্স অব ইলেকট্রিক্যাল ইকুইপমেন্ট বা জেনারেল ইলেকট্রিশিয়ান বা ইলেকট্রিশিয়ান বা ইলেকট্রিক্যাল মেশিন মেইনটেন্যান্স বা জেনারেল ইলেকট্রনিকস ট্রেড বিষয়ে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। কোনো ফার্ম বা ওয়ার্কশপে অপারেটর ও তত্ত্বাবধানসংক্রান্ত কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
১০. পদের নাম: সহকারী উপখাদ্য পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৩১৭
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১১. পদের নাম: অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক (পাস) বা সমমানের ডিগ্রিসহ ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল যন্ত্রপাতি চালানোর বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১২. পদের নাম: সহকারী ফোরম্যান
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট বা ওয়েল্ডিং বা ডিজেল মেকানিকস বিষয়ে ট্রেড সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে। অথবা স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট বা ওয়েল্ডিং বা ডিজেল মেকানিকস ট্রেডে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১৩. পদের নাম: মিলরাইট
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট বা ওয়েল্ডিং বা ডিজেল মেকানিকস বিষয়ে ট্রেড সার্টিফিকেট কোর্স থাকতে হবে। অথবা স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অটো মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি বা জেনারেল মেকানিকস বা মেশিনিস্ট বা ওয়েল্ডিং বা ডিজেল মেকানিকস ট্রেডে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১৪. পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১১
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদ্যুতিক ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির কারিগরি পারমিট/লাইসেন্স এবং সাধারণ ও বিশেষায়িত বৈদ্যুতিক কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১৫. পদের নাম: ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৫০
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) বা সমমান পাস। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ লাইসেন্সসহ (হালকা লাইসেন্স) হালকা যানবাহন চালনায় পারদর্শী হতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)
১৬. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৪৩৬
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরের গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ২০ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৭. পদের নাম: ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর
পদসংখ্যা: ৭২
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরের গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ৩০ ও ইংরেজিতে ৪০ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৮. পদের নাম: ল্যাবরেটরি সহকারী
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: বিজ্ঞান শাখায় অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরের গতি প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন বাংলায় ৩০ ও ইংরেজিতে ৪০ শব্দ থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
১৯. পদের নাম: সহকারী অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩৬
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরী শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এইচএসসি (এইচএসসি ভোকেশনাল) পাস।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
২০. পদের নাম: স্টেভেডর সরদার
পদসংখ্যা: ৬
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এইচএসসি (এইচএসসি ভোকেশনাল) পাস।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
২১. পদের নাম: ভেহিকেল মেকানিক
পদসংখ্যা: ৯
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। মেকানিক্যাল কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
২২. পদের নাম: সহকারী মিলরাইট
পদসংখ্যা: ৬
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। মেকানিক্যাল কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
২৩. পদের নাম: মিল অপারেটিভ
পদসংখ্যা: ১২৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। মেকানিক্যাল কাজে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
২৪. পদের নাম: সাইলো অপারেটিভ
পদসংখ্যা: ১৭৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে জেনারেল মেকানিকস বা ফার্ম মেশিনারি ট্রেড বিষয়ে এসএসসি (এসএসসি ভোকেশনাল) পাস। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বছরের বাস্তব কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
২৫. পদের নাম: স্প্রেম্যান
পদসংখ্যা: ২৪
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানে জিপিএতে এসএসসি বা সমমান পাস।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা এবং ২৫ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা এবং অনগ্রসর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সব পদের জন্য পরীক্ষা ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে ২০২৫, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ম ইনট ন য ন স ব অন য ন দ ব ত য সমম ন র ড গ র ম য ন পদস খ য র পদস খ য ক পদস খ য সমম ন প স পদ র ন ম গ র ড ১৪ গ র ড ১৫ ৩ য গ যত ৬ য গ যত গ র ড ১৬ ট ল টক সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল শহীদ আনাস-নাঈমা-সাফওয়ান, তাদের পরিবারে শুধুই হাহাকার
টেবিলে বইপত্র সব গুছিয়ে রাখা। কেউ নেড়েচেড়েও দেখেনি। অথচ এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। এসএসসি পরীক্ষার সময় বাসায় হুলুস্থুল লেগে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরিবারে শুধুই হাহাকার। অন্য ছেলে-মেয়েরা পরীক্ষা দিতে গেল, চেয়ে চেয়ে সেই দৃশ্য দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না শহীদদের মা–বাবা আর পরিবারের সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এবার সারা দেশে ৩ হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। নাঈমা সুলতানা, শাহারিয়ার খাঁন আনাসদেরও এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড, প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য নথি পরিবারের সদস্যদের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি।
নাঈমা সুলতানার মা আইনুন নাহার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়েও ঘুমাতে পারিনি। বড় মেয়ে তাসপিয়া সুলতানা একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে, আজ তারও পরীক্ষা ছিল। নাঈমা থাকলে দুই বোন রাত জেগে একসঙ্গে পড়ত। এ কথা মনে করে বড় মেয়েটা কান্না শুরু করে আর পড়তে পারেনি। নাঈমার রেজিস্ট্রেশন কার্ড এখন আমাদের কাছে শুধুই স্মৃতি, মনকে সান্ত্বনা দিই, আমার মেয়েটা বেঁচে থাকলে ও এবার এসএসসি পরীক্ষা দিত।’
নাঈমা উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়ত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাড়ির নিচে পুলিশ ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দেয়। নাঈমা তখন চার তলা ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে কাপড় আনতে গিয়েছিল। পুলিশের ছোড়া একটি গুলি নাঈমার মাথার বাঁ পাশে লেগে মাথার মগজ বেরিয়ে যায়।
আইনুন নাহার জানালেন, নাঈমা মারা যাওয়ার মাসখানেক আগে অনলাইনে চার ঘণ্টা কাজ করলে ২০ হাজার টাকা বেতন পাবে, কাজটি সে করবে কি না তা জানতে চেয়েছিল। তখন নাঈমার বাবা বলেছিলেন, এখন বাবা কষ্ট করে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নিতে পারবেন, তাই নাঈমাকে কাজ করতে হবে না। ভালো করে পড়াশোনা করে এসএসসিতে ভালো ফল করতে বলেছিলেন। তা তো আর হলো না।
নাঈমা প্রায়ই তাঁর মাকে বলত, তোমার মেয়ের পরিচয়ে একসময় তুমি পরিচিত হবে। আইনুন নাহার বলেন, ‘এখন সবাই আমাকে চেনে শহীদ নাঈমা সুলতানার মা হিসেবে।’
মাত্র ১৬ বছর ৯ মাস বয়সে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হয় শাহারিয়ার খাঁন আনাস। গেন্ডারিয়ার আদর্শ একাডেমি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগে দশম শ্রেণিতে পড়ত সে।
আনাসের মা সানজিদা খান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় মনে হয়েছে, এখন ছেলের পরীক্ষার হলের সামনে থাকতাম। বেলা একটায় মনে হয়েছে, আনাসের পরীক্ষা শেষ হতো এখন। আজকে যাতে ঝামেলা না হয়, তাই হয়তো আগের দিনই ছেলের পছন্দের খাবার রান্না করে রাখতাম, যাতে ছেলে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে খেতে পারে। প্রতি মুহূর্তে আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য আজ আনাসকে মনে করেছে। আমরা যা মনে করেছি, বাস্তবে তার কিছুই হয়নি।’
সানজিদা খান তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজকের দিনটা আমার খুব ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। আনাসের ১০ বছরের সাধনা। কত দোয়া, কত টেনশন, কত স্বপ্ন। আনাস আগেই বলেছিল, মা কফি খেতে হবে, নইলে পড়ব কেমন করে? টেবিলে সাজানো বই, ঘরে রাখা কফি, ফাইলে গোছানো রেজিস্ট্রেশন কার্ড, শুধু আনাসটাই নেই। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে আনাস চলে গেছে জীবনের সকল পরীক্ষা অতিক্রম করে।’
সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে পড়ত সাফওয়ান আখতার সদ্য। ৫ আগস্ট বিকেলে সাভারে সাফওয়ান পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
সাভারের বাসায় ৫ আগস্ট দুপুরে রান্না করছিলেন সাফওয়ানের মা খাদিজা বিন জুবায়েদ। সাফওয়ান পড়ার টেবিলেই ছিল। গৃহশিক্ষক অমিত সাহাকে সাফওয়ান নিজেই ফোন করে বলেছিল, ‘ভাইয়া, এখন আইসেন না, গুলি খেয়ে মরে যাবেন।’
শিক্ষককে সন্ধ্যা সাতটায় আসতে বলেছিল সে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পাওয়ার পর সাফওয়ানের বাবা মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান স্ত্রী খাদিজা বিন জুবায়েদকে বিজয় মিছিলের খবর জানিয়ে ছেলেকে নিচে পাঠাতে বলেছিলেন।
সেদিন আনন্দমিছিলে অংশ নিয়ে সাভারের পাকিজা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাফওয়ান তাঁর বাবার সঙ্গেই ছিল। দুপুরে খাওয়া হয়নি বলে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাবা আখতারুজ্জামান বাসায় ফিরে এসেছিলেন। ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে আরেকটু আনন্দ করতে চেয়েছিল।
মাগরিবের আজানের আগে সব সময় বাসায় ফেরা ছেলে আর ঘরে ফেরে না। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাফওয়ানকে খুঁজতে থাকেন সবাই। হাসপাতালের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় স্ট্রেচারে কয়েকটি লাশ ছিল। সন্ধ্যায় সাফওয়ানকে পড়াতে আসা সেই শিক্ষক একটি লাশ দেখে বলেন, সাফওয়ানের চেহারার সঙ্গে মিল আছে মনে হচ্ছে। বাবা কাছে গিয়ে দেখলেন, নিথর হয়ে পড়ে থাকা লাশটিই তাঁর সাফওয়ানের।
এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সাফওয়ানের। স্কুলে প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষার কয়েকটি পরীক্ষা দেওয়ার পর স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তানজিলা মোস্তাফিজের চোখের সামনেই জন্ম ও বড় হয়েছে মামাতো ভাই সাফওয়ান। তানজিলা সাভারে মামার বাসায় থেকেই পড়াশোনা করেছেন। তাই সাফওয়ানকে পড়ানোর দায়িত্বও ছিল তাঁর।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তানজিলা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাইটা পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। শুধু বাংলা আর বায়োলজি পড়তে চাইত না। এসএসসিতে ভাই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাবে এটা ধরে নিয়েছিলাম। ভাইয়ের জন্য এইচএসসির বই, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার গাইডও সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। কত স্বপ্ন ছিল, কত পরিকল্পনা ছিল—ভেবেছিলাম পরীক্ষা শেষ হলে বলব, চল এবার নতুন স্বপ্নের পথে হাঁটা শুরু করি।’
তানজিলা জানালেন, সাফওয়ানের মা খাদিজা বিন জুবায়েদ মেসেঞ্জারের ফ্যামিলি গ্রুপে লিখেছেন—আজ সাফওয়ানের পরীক্ষা, সবাই দোয়া করো। তানজিলার সঙ্গে রাগ দেখিয়েছেন, তিনি কেন ফোন করে সাফওয়ানের পরীক্ষা কেমন হলো তা জানতে চাইলেন না।
এই মায়ের পাগলামী দেখে পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না বলে জানালেন তানজিলা।
আরও পড়ুন‘তোকে ছাড়া আমি ভালো নেই বাপ’০১ জানুয়ারি ২০২৫