ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া আড়াই মাস বয়সী শিশু সায়ানকে উদ্ধার করেছে র‍‍্যাব।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকার গাজীপুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) শেখ জাহিদুল ইসলাম।

এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “চুরি হওয়ার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা শুরু করা হয়। অনেক চেষ্টার পর শিশুটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এঘটনায় ৩-৪ জনকে আটকের কথা আমরা জানতে পেরেছি। তবে, আটকের বিষয়টি বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।”

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে সাড়ে ৪ বছর বয়সী শিশুকে ‘ধর্ষণ’, থানায় মামলা 

রাজশাহীর পৌনে ৪ লাখ শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

সায়ানের নানি পারভিন জানান, শিশুটিকে আনতে ঠাকুরগাঁও পুলিশ প্রশাসন সায়ানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

এর আগে, গত সোমবার (১০ মার্চ) ইফতারের পর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে শিশুটি চুরি হয়। চুরি হওয়া শিশুটি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লি থানার মুন্সিরহাট এলাকার শিমুল হোসেনের ছেলে।

গত রবিবার ৯ মার্চ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হলে সায়ানকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সোমবার সারাদিন এক অচেনা নারী শিশুটির পাশে থেকে তার যত্ন নেয় এবং বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। সন্ধ্যায় শিশুটির মা হাসি ও তার নানী পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে যান। ফিরে এসে তারা শিশুটিকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। 

বিষয়টি জানাজানি হলে রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য হাসপাতালের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পর দিন মঙ্গলবার সকালেও শিশুটিকে উদ্ধার ও হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির কথা শোনেন এবং শিশুটিকে উদ্ধার আশ্বাস দেন। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ ও বিক্ষোভ বন্ধ করেন।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে পোশাক তৈরি কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আল ফাহাদ ট্রেড লাইন্স নামে এক পোশাক তৈরি  কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১২ মার্চ)  ভোরে মদনপুর ইউপির দেওয়ানবাগ এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময়  মুখোশদারি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল লুটে নেয় নগদ ১৩ লাখ টাকা সহ ২২ লাখ টাকার মালামাল ।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) আসিফ ইমাম ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বস্ত করেন তিনি।

কারখানার স্টোর কিপার আব্দুল  হান্নান জানান,  ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে  কারখানার পিছনের দরজা দিয়ে ১০/১২ জনের একটি মুখোশদারি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে কারখানায় প্রবেশ করে।  

তারপর গার্ডদের  হাত পা বেধে সিসি ক্যামেরা ও মেশিনারিজ খুলে ডাকাতদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। 

পরে অফিস কক্ষগুলোতে ঢুকে ভল্ট, লকার ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩টি কম্পিউটার, ১টি সিসিটিভির মনিটর, স্টোরেজ মেশিন, ১টি জেনারেটর, ৬টি মোবাইল সেট,  ৪ লাখ টাকা মূল্যের ১টি গরু ও যন্ত্রপাতিসহ মোট ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে  নিয়ে যায়।

কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, গত বছরের ৩ জুলাই একই কায়দায় ডাকাতদল অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লক্ষাধিক টাকা  মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। একের পর এক ডাকাতির  ঘটনায়  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি  অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ