ওয়ানডেতে দলীয় ৪০০ রান এখন আর কোনো বিষয় নয়। স্কোরবোর্ডের বাঁ পাশে ‘৪’ রেখে তিন অঙ্কের ওই সংখ্যা দেখে আর ভ্রুকুটি জাগে না। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ৩০০ রান দেখেও চোখে বিষ্ময় জেগেছে। সেই রান তাড়া করে জিতলে তো কথাই নেই। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তা কয়েক দিনের আলোচনার খোরাক।
এখন অবশ্য যেকোনো রানপাহাড় টপকে জিতলেও সেভাবে কেউ গা করে না। তবে ৪০০ রান ক্যাটাগরিতেই এমন এক ম্যাচ আছে, যার বয়স প্রায় দুই দশক হয়ে গেলেও লোকে মনে রেখেছে। এখন কোনো দল ৪০০ তুললেও ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ ওঠে। ধরতে পেরেছেন কোন ম্যাচ? সময় বলে দেওয়ায় নিশ্চয়ই মনে পড়েছে!
যেহেতু মনে পড়েছে, তাই ওই প্রসঙ্গে একটু পরে আসি। আগে একটি বিষয় ভেঙে বলা যাক। বলুন তো, ওয়ানডেতে প্রথম দলীয় ২০০ রান কবে হয়েছে? সেটা ১৯৭২ সালের ২৪ আগস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই। প্রথমবারের মতো ২০০ রান তাড়া করে জয়ও ইংল্যান্ড–অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সে ম্যাচে।
১৯৯২ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ৩১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে ফিরেই মিরপুর স্টেডিয়ামে তামিম
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলছে মোহামেডান ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার ম্যাচ। এর মধ্যেই হঠাৎ মিরপুর স্টেডিয়ামে আসেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবাল। বিকেএসপিতে ম্যাচ খেলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর এটাই প্রথম তার মিরপুর স্টেডিয়ামে আসা।
মাঠে থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে তখন প্রশ্ন, অসুস্থ শরীর নিয়েই তামিম কি ম্যাচ দেখতে এসেছেন। নিজের দল মোহামেডানকে কি সমর্থন দিতে এসেছেন? পরে জানা গেছে, ম্যাচ দেখতে নয় তিনি এসেছিলেন বিসিবির চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে। সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকা ফিরে বিশ্রাম নিয়েই তিনি এদিন স্টেডিয়ামে চলে আসেন।
এর আগে গত ২৪ মার্চ ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে ম্যাচ খেলতে বিকেএসপিতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন তামিম ইকবাল। সাভারে কেপিজে হাসপাতালে হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয় তাকে।
সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চেক আপ করতে গিয়েছিলেন তামিম। শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকেই স্ত্রী আয়েশার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেন জাতীয় দলের সাবেক এই বাঁ-হাতি ওপেনার। তাকে দেখে বেশ সুস্থই মনে হয়েছে।
তামিম ইকবালের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তার চাচা আকরাম খান জানান, তামিমের শরীরের অবস্থা এখন অনেক ভালো। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্যগত বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন। তামিম তিন-চার মাসের মধ্যে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেটে ফিরতে পারবে বলেও জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা। যদিও তামিম আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেটে খেলবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।