কিশোরগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক্টর ফুটপাতে উঠে যায়। এসময় গাড়িটির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস (৫৮) নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিক।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের গাইটাল পেট্রোল পাম্প এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন এতথ্য জানান।

মারা যাওয়া নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস (৫৮) সদর উপজেলার কাতিয়ারচর এলাকার মৃত গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ৩ মোটরসাইকেল চালক নিহত

দুই ট্রাকের সংঘর্ষে এক চালক নিহত

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়ি সংলগ্ন লক্ষী নারায়ণ এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনের ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস। এ সময় ইট বোঝাই একটি ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ফুটপাতে উঠে নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসকে চাপা দেয়। এলাকাবাসী গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন।” 

তিনি আরো বলেন, “ঘটনার পর ট্রাক্টর রেখে পালিয়ে যান চালক। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ক শ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের জেরে মার্কিন ডলারের মান সর্বনিম্নে নেমেছে। শুক্রবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার মান গত তিন বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ পতন হয়েছে।

বিশ্বে মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের সূচক (ডিএক্সওয়াই) ও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার মার্কিন ডলারের মান তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান সাধারণত ডলারের মানের ওপর নির্ভর করে।

মার্কিন ডলারের সূচকে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ডলারের মূল্য কমে ৯৯ দশমিক ০১-এ দাঁড়িয়েছে। যা এক বছরের মধ্যে ডলারের মানের প্রায় ৮ শতাংশ পতনের রেকর্ড।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ডলারের মানের বেশি পতন ঘটেছে। ওই দিন বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আমদানি শুল্ক আরোপ করেন তিনি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়ার শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস শুরু হয়। যদিও পরবর্তীতে চীন ছাড়া বাকি সব দেশের ওপর আরোপিত এই শুল্ক আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।

বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় আলাদা দুটি দেশের মুদ্রায়। উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ক্রয়। যার ফলে এক দেশের মুদ্রার মান আরেক দেশের মুদ্রার মানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যা ‘এক্সচেঞ্জ রেট’ নামে পরিচিত।

বিশ্বের বেশিরভাগ মুদ্রার মানই ওঠানামা করে। যার অর্থ চাহিদা এবং সরবরাহ অনুযায়ী দাম পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিছ মুদ্রার মান স্থির। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ডলার একটি নির্দিষ্ট দামে নির্ধারিত। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডলারের মান নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটি বাতিল করা হয়

এখন চাহিদা ও সরবরাহ অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মূল্য ওঠানামা করে। মুদ্রা শক্তিশালী হয় বিভিন্ন কারণে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, পণ্যের চাহিদা ইত্যাদি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ