আয়ারল্যান্ড বর্তমানে প্রযুক্তি, নির্মাণ ও বায়োমেডিকেল খাতে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অন্যতম একটি। দেশটি দক্ষ প্রকৌশলীদের জন্য ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং বিশ্বের প্রকৌশলীদের (ইঞ্জিনিয়ার) জন্য এটি অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু। তাই বাংলাদেশিদের জন্য আয়ারল্যান্ড হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য, বিশেষ করে আইটি, মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে।

আয়ারল্যান্ডে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে। দেশটির দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও নির্মাণ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ, বহুজাতিক কোম্পানির উপস্থিতি এবং স্থানীয় দক্ষ কর্মীর স্বল্পতা এই ক্ষেত্রকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। গুগল, মাইক্রোসফট, ইন্টেল, মেডট্রোনিক, ফাইজারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আয়ারল্যান্ডে আইটি ইঞ্জিনিয়াররা সাধারণত বছরে ৫০,০০০ থেকে ৮০,০০০ ইউরো বেতন পান, সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা ৪০,০০০ থেকে ৭০,০০০ ইউরো পর্যন্ত এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ৪৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ ইউরোর মধ্যে হতে পারে।প্রথম আলো ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সারের জামিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।

আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জিসান হায়দার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল।

এ মামলায় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর শমী কায়সারকে ৩ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। আদেশে একই সঙ্গে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রুল নিষ্পত্তি করে শমী কায়সারকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওই সময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ নিজেই বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। এরপর ৫ নভেম্বর শমী কায়সারকে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ