সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যে বৈঠকের পর কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে তাৎক্ষণিক ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে নিতে প্রস্তুত তারা। খবর বিবিসির।

গত মাসে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর সৌদি আরবের জেদ্দায় গতকাল (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত এই আলোচনা ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক।

বৈঠকে নেতৃত্বের ভূমিকা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বল এখন (রাশিয়ানদের) কোর্টে।’ এখন মস্কোর কাছে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরো পড়ুন:

ঢাকার রাশিয়ান হাউজে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

রাশিয়ায় ব্যাপক ড্রোন হামলা ইউক্রেনের

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এখন রাশিয়াকে ‌‘ইতিবাচক’ এই প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার বিষয়ে রাজি করানোর দায়িত্ব নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা অবিলম্বে ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং নিরাপত্তা সহায়তা পুনরায় চালু করবে। সম্প্রতি ইউক্রেনের ওপর সামরিক সহায়তা স্থগিত করার পর গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহও বন্ধ করে দেয় ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় প্রতিনিধিদল তাদের আলোচক দলের নাম ঘোষণা করতে এবং ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, রাশিয়ানরা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবে বলে তিনি আশা করছেন। তবে তারা যদি এতে রাজি না হয় তবে ‘দুর্ভাগ্যবশত সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা আমরা বুঝতে পারব’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

এদিকে হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “ইউক্রেন এতে (যুদ্ধবিরতি) রাজি হয়েছে। আশা করি প্রেসিডেন্ট পুতিনও রাজি হবেন।”

ট্রাম্প আরো বলেন, “ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যেদিন শেষবার হোয়াইট হাউজে উপস্থিত ছিলেন, সেদিনের তুলনায় বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন।”

জেদ্দায় ‘গঠনমূলক’ আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

একটি ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়াকে এবার ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে বা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তার ইচ্ছা প্রকাশ করতে হবে’।”

তিনি আরো বলেন, “পূর্ণ সত্য প্রকাশের সময় এসেছে।” 

মস্কো এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। মঙ্গলবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ব্রিফ করার পর তারা একটি বিবৃতি জারি করবে।

রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করে। মস্কো বর্তমানে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের প্রায় ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের জানান, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা যেমন বলেছে, ঠিক তেমনই দুটি চুক্তি করতে হবে।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রাশিয়া চুক্তিতে সম্মত হবে।

“আগামীকাল রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের একটি বড় বৈঠক হবে এবং আশা করা যায় কিছু দুর্দান্ত আলোচনা হবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ওয়াশিংটনে ফের আমন্ত্রণ জানাতে প্রস্তুত।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন ইউক র ন র প র স ড ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় গণহত‌্যা: জিএম কা‌দে‌রের নেতৃ‌ত্বে রাজধানী‌তে বি‌ক্ষোভ

হাজায় গণহত‌্যার প্রতিবা‌দে সা‌বেক বি‌রোধীদ‌লীয় নেতা জিএম কা‌দেরের নেতৃ‌ত্বে রাজধানী‌তে বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল ও সমাবেশ ক‌রে‌ছে জাতীয় পা‌র্টি।

ফিলিস্তিনী জনগণের প্রতি সমর্থন ও ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকা‌লে কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বর থে‌কে মি‌ছিল‌টি বের করা হয়। মি‌ছি‌লটি প্রধান প্রধান সড়ক ঘু‌রে জাতীয় প্রেসক্লা‌বে গি‌য়ে শেষ হয়।

মি‌ছিলপূর্ব সমা‌বে‌শে জিএম কা‌দের ব‌লেন, “সরকারের উচিত ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ানো। ফি‌লি‌স্তি‌নি‌দের রক্ষা কর‌তে হ‌বে।”

আরো পড়ুন:

আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে যা বললেন জিএম কাদের

‘ক্লিন ইমেজের’ আড়ালে ‘কলঙ্ক’, দুদকের জালে জিএম কাদের

বিশ্ব নেতাদের সাথে সরকারকে এ বিষ‌য়ে ব‌্যবস্থা নেওয়ার দা‌বিও জানান তি‌নি।

হত্যাযজ্ঞের তীব্র প্রতিবাদ জানি‌য়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ব‌লেন, “ফিলিস্তিনের ভাই-বোনদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন অব্যাহত থাকব। আমরা তাদের পাশে আছি, সব সময় তাদের পাশে থাকব। ফুটফুটে শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে বিশ্ব বিবেক কী করে মেনে নিতে পারে? আমরা কি মানুষ? আমাদের মনুষত্ব কি শেষ হয়ে গেছে? ফিলিস্তিনীদের সব ন্যায্য দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন থাকবে।”

“বিশ্ব নেতাদের সাথে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ান। অসহায় ফিলিস্তিনীদের রক্ষা করার ব্যবস্থা করুন। নিরিহ মানুষ যেনো পাশবিক নির্যাতনের শিকার না হয়।”

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, “সরকারের উচিত ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ানো। ফিলিস্তিনীদের স্বার্থে আমাদের কী করতে হবে সরকার তা ঠিক করে দিক। আমরা ফিলিস্তিনীদের স্বার্থের সব কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকব।  আমরা ফিলিস্তিনীদের মুক্তি চাই। আমরা চাই, ফিলিস্তিনীরা যেনো মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে।”

বর্তমান সরকারের সমা‌লোচনা ক‌রে জাপা চেয়ারম‌্যান ব‌লেন, “এ সরকার আমলে অনেক মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। সরকারের কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষ বেকারদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। তাদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখানোর কাজে বেকারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণেই, ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত মিছিল থেকে লুট-পাটের ঘটনা ঘটছে। ভাঙচুর ও আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়ে কিছু মানুষ তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে চাচ্ছে। এভাবে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে তারা। আমরা তাদের ভয়-ভীতি দেখানোকে পরোয়া করি না। যারা দুরে আগুন লাগিয়ে নিজেকে নিরাপদ ভাবছেন, দুদিন পরে সেই আগুন আপনার ঘরেও লাগতে পারে। সাধারণ মানুষের ওপর যে অত্যাচার চলছে তা অবশ্যই শেষ হবে।”

উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ইমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, মনিরুল ইসলাম মিলন, আরিফুর রহমান খান,  ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহার শামীম, প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, খলিলুর রহমান খলিল, ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল রাব্বি চৌধুরী রুম্মন,  মাসরেকুল আজম রবি,  হাজী শাহজাহান, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ  রাজু, সুলতান মোহাম্মদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন, আমির উদ্দিন ডালু, হুমায়ুন খান, আক্তার হোসেন দেওয়ান, এম এ সোবাহান, যুগ্ম মহাসচিব  শামসুল হক, মোহাম্মদ আমির হোসেন, আব্দুল হামিদ ভাসানী, শামীম আহমেদ রিজভী, এম এ হান্নান, জুবের আলম খান রবিন, খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য    নির্মল দাস, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন হেলাল, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, আবুল খায়ের, মিজানুর রহমান মিরু, আজাহার সরকার মাসুদুর রহমান মাসুম,  মাহমুদ আলম, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য  জাকির হোসেন মৃধা, আবু সাদেক বাদল, মামুনুর রহিম সুমন, মোড়ল জিয়াউর রহমান, শরিফুল ইসলাম চৌধুরী অর্ণব, সমরেশ মণ্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, শেখ মো. শান্ত, ঈসারুহুল্লাহ আসিফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের, শেরপুর জেলার আহ্বায়ক মাহমুদুল হক মনি, ইঞ্জিনিয়ার জুবায়ের, শ্রমিক পার্টির সভাপতি  মোফতার উদ্দিন জসিম, কৃষক পার্টির সদস্য সচিব এম এ কুদ্দুস মানিক, প্রিন্স, মোটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, হকার্স পার্টির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ হাসান তালুকদার প্রিন্স যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল রেজা প্রমুখ।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ