রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ১০ ঘণ্টা সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

আজ বুধবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি লিমিটেড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

যে এলাকাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, সেগুলো হলো রাজধানীর উত্তরখান, দক্ষিণখান, ফায়েদাবাদ এলাকা, আশকোনাসহ আশপাশের সব এলাকা (শীতলক্ষ্যা নদীর তীর পর্যন্ত)। এ ছাড়া এর আশপাশের এলাকাগুলোয় গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আশকোনা-গাওয়াইর এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ সমস্যা নিরসনকল্পে গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলো ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে অবরুদ্ধ গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। 

রবিবার (৯ মার্চ) ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন অবিলম্বে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। খবর আল জাজিরার। 

জ্বালানিমন্ত্রী কোহেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের পোস্টে লিখেছেন, “সব জিম্মিকে বাড়ি ফেরাতে এবং যুদ্ধ শেষে গাজায় যেন হামাস আর না থাকে সেটি নিশ্চিত করতেই আমরা সকল পথ অবলম্বন করব।” 

আরো পড়ুন:

হামাসকে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দিলেন ট্রাম্প

হামাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক ট্রাম্প প্রশাসনের

তিনি আরো বলেন, “গাজা ভূখণ্ডের বিদ্যুৎ সরবরাহ ‘অবিলম্বে বন্ধ করার’ একটি আদেশে সই করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন সময় এসেছে পদক্ষেপ নেওয়ার!”

এর আগে প্রথম দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গাজায় সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ইসরায়েল প্রশাসন।

ইসরায়েলের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় থেকে সে দেশের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে গাজায় বিদ্যুৎ পাঠানো বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি কাতার, আমেরিকা এবং মিসরের উদ্যোগে ইসরায়েল এবং হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। ইসরায়েল চায় প্রথম দফার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হোক। অন্যদিকে, হামাস চায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতে। 

গত ছয় সপ্তাহজুড়ে দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা, দরকষাকষি ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে এসেছে হামাস। কিন্তু ইসরায়েলের অসহযোগিতামূলক আচরণে তা আলোর মুখ দেখেনি। নেতানিয়াহুর প্রশাসন চাইছে, সাময়িক যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। তা নিয়ে ক্রমশ হামাসের ওপর চাপ বৃদ্ধি করছে তারা।

গাজায় মানবিক সহায়তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ইসরায়েলের এসব সিদ্ধান্তকে ‘সস্তা ব্ল্যাকমেইল’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস। নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলেও হামাস দাবি করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • পানির দাবিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা ঘেরাও
  • এবার ১৬ মার্চের মধ্যে সব পাঠ্যবই দেওয়ার আশা এনসিটিবি চেয়ারম্যানের
  • স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে অনুমোদন
  • গাজায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের প্রভাব কী হতে পারে
  • আমিনবাজার পাওয়ার গ্রিডে অগ্নিকাণ্ড, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা
  • রমজানে দ্রব্যমূল্য: জাপানের সততা বনাম আমাদের বাস্তবতা
  • পরিত্যক্ত রান্নাঘরে ‘বিশুদ্ধ’ পানির কারখানা
  • গাজায় এবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলো ইসরায়েল