গুলিবিদ্ধ মদনটাক জবাই করে মাংস ভাগাভাগি, ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের নাম মামলা
Published: 12th, March 2025 GMT
বরগুনায় গুলিবিদ্ধ মদনটাক উদ্ধার করে জবাই ও মাংস ভাগাভাগির ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ ছয়জনের নামে বন প্রাণী ও নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ফসলি মাঠের পাশে শিশুরা খেলছিল। এ সময় সেখানে ডানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি মদনটাক পাখি এসে বসে। শিশুরা বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। পরে বদরখালী ইউপির সদস্য সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন পাখিটি উদ্ধার করেন। এর মাথা ও ডানায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে পাখিটি জবাই করে তাঁরা মাংস ভাগাভাগি করে নেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মদনটাক পাখিটিকে কে বা কারা জবাই করেছে, তা আমি জানি না। আমাকে বন বিভাগের লোকজন ডেকে নিয়ে গেছে ঘটনাস্থলে। এখন শুনি আমাকে পাখি হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।’
সদর উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন বীথি দেবনাথ বলেন, ‘বন বিভাগের কর্মীরা মদনটাক পাখির জবাই করা কিছু অংশ আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। পাখিটিকে কোনো পেশাদার শিকারি গুলি করেছেন। এর মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।’
আরও পড়ুনগুলিবিদ্ধ মদনটাক পাখি উদ্ধার করে জবাই, মাংস ভাগাভাগির অভিযোগ১০ মার্চ ২০২৫বরগুনা সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জগলুল হাসান বলেন, পাখি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করার ঘটনায় থানায় বন প্রাণী ও নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গুলিবিদ্ধ মদনটাক পাখি উদ্ধার করে জবাই, মাংস ভাগাভাগির অভিযোগ
বরগুনা সদর উপজেলায় গুলিবিদ্ধ একটি মদনটাক উদ্ধার করা হয়। পরে জবাই করে মাংস ভাগ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় পরিবেশকর্মী আরিফুর রহমান বলেন, মদনটাক পাখিটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে আশ্রয় নেওয়ার জন্য গিয়ে প্রাণ হারাল গ্রামবাসীর হাতে। সবার সামনে একটি মদনটাক জবাই করে উল্লাস করা হলো। একজন জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে এই জঘন্য কাজ সংঘটিত হলো। পাশেই বিষখালী নদীর মাঝের চরে অনেক পাতা বন আছে। পাখিগুলো নিরাপদ জায়গা খোঁজে। পাখিটি গুলিবিদ্ধ মানেই এটা প্রমাণ করে যে পেশাদার পাখি শিকারি এখনো পাখি শিকার করছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে তেঁতুলবাড়িয়া নদীর পাড়ে একটি ফসলি মাঠের পাশে খেলছিল ৭ থেকে ১০ বছরের কয়েকজন শিশু। এ সময় ডানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি মদনটাক পাখি নদীর পাড়ে এসে পড়ে। শিশুরা বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়াকে জানান। পরে আব্বাস বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম ও মনির খলিফাকে সঙ্গে নিয়ে পাখিটি উদ্ধার করেন। সেখানে এলাকার লোকজন জড়ো হলে পাখিটি জবাই করে তাঁরা মাংস ভাগাভাগি করে নেন।
পাখি জবাই করে মাংস ভাগাভাগির বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার এলাকায় একটি বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি আহত অবস্থায় ধরা হয়েছে। আমি তখন বরগুনা শহরে অবস্থান করছিলাম। খবর শোনার পর আমি দ্রুত এলাকায় চলে যাই। আমার যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন পাখিটিকে জবাই করে। আমার নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ঠিক না।’
বরগুনা সদর উপজেলার বিট কর্মকর্তা জালাল আহমেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পাখিটি জবাই করে মাংস ভাগ করে নিয়েছে এলাকার লোকজন। এ ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি আলামত জব্দের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।