সুনামগঞ্জে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
Published: 12th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় জমিতে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে৷ পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে বীরগাঁও গ্রামের তয়ফুর মিয়ার জমির ধানের চারা খেয়ে ফেলে গরু। ওই গরুর মালিক একই গ্রামের নুয়েল আহমদ। এ নিয়ে তয়ফুর ও নুয়েল আহমদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দেশি অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে নিয়াজ আহমদ, শাওন মিয়া, তয়ফুর হোসেন, আবু আলী, জাবেদ আহমদ, বকুল মিয়া, জমির হোসেন হেলাল, সেবিনুর আহমদ, সাধু মিয়া, সাব্বির সোহান, জাহিন হোসেন, সুবেল রিমন ও রুবেজ মিয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এই মারামারি হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা ‘ছিনতাই’, গ্রেপ্তার ৪
বড়লেখায় রাজনৈতিক মামলার আসামি এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কাজে তাঁর স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কলাজুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন– উপজেলা কলাজুরা গ্রামের তাজুল ইসলাম, জামিল আহমদ, গৌরধন সিংহ ও মুরাদ আহমদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে পুলিশ নিরীহ তিন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই বড়লেখা থানার এসআই দেবল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
থানা পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলাজুরা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজির উদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।
শনিবার রাতে বড়লেখা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই তৌহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ কলাজুরা বাজারে অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেপ্তার করে। পরে গাড়িতে তোলার সময় স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা মাসুম পালিয়ে যান। পরে বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকারসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী বড়লেখা থানার এসআই দেবল চন্দ্র সরকার রোববার দুপুরে জানান, ছাত্রলীগ নেতা মাসুমকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।