পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।

জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।

আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

গাজীপুরে কৃষক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের দাখিনখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রাকিব মোল্লা (২৯)। তিনি দাখিনখান এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুর সদর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাখিনখান এলাকায় ইন্তাজ ও সেলিম মিয়া নামের দুজনে মিলে কেব্‌ল টিভি (ডিশ) ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করছিলেন। সম্প্রতি রাকিব মোল্লা সেই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন। এ নিয়ে এলাকাটিতে উত্তেজনা চলছিল। রাকিবের সঙ্গে ইন্তাজ ও সেলিম মিয়ার প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে রাকিব দাখিনখান এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন খবরে প্রতিপক্ষ ইন্তাজ, সেলিমসহ অন্তত ৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে তাঁরা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে রাকিব গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইন্তাজ ও সেলিম পালিয়ে যান। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ