যে অভ্যাসগুলো আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে
Published: 12th, March 2025 GMT
পরিবারে কিংবা কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় অনেকের সমালোচনা শুনতে হতে পারে। কিন্তু কেউ সমালোচনা করলেই সেটা নিজের গায়ে মাখতে যাওয়াটাকে মনোবিদরা বিপদজনক মনে করছেন। আবার কোনো ভুল হচ্ছে মানেই ভুলটা শুধুই আপনার এমনটা ভাবাও আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমন ছোট ছোট অনেক অভ্যাস আছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদে আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।
বার বার সরি বলা: ভুল হলে সরি বলা ভালো কিন্তু বার বার সরি বলা ভালো নয়। এতে আত্মসম্মান কমে যায়। চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে স্বভাব বদলানোর। অন্যের ভুল বার বার নিজের কাঁধে নেওয়ার অভ্যাস আপনার আত্মবিশ্বাস দিনে দিনে কমিয়ে একেবারে তলানীতে নিয়ে আসবে। কখন ক্ষমা চাইতে হবে আর কখন চাইতে হবে না, এটা বোঝার চেষ্টা করতে পারেন।
প্রাপ্যের চেয়ে কম আশা করা: পরিবারে কিংবা অফিসে আপনি আপনার কাজের মূল্যায়ন আশা করা ছেড়ে দেবেন না। এটা খুবই ক্ষতিকর। এই প্রবণতা আপনাকে ব্যর্থতা বা প্রত্যাখানের অভিজ্ঞতা দিতে পারে। আপনার মনে হতে পারে এই সুযোগের যোগ্য নন আপনি। নিজের মূল্য বোঝার চেষ্টা করুন।
আরো পড়ুন:
সংসার শুধু রমণীর গুণে সুখের হয় না, পুরুষকেও মানতে হবে ৫ নিয়ম
ঈদে হ্যান্ডপেইন্ট পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন মিতু
বার বার ফোন চেক করা: যুক্তসংগত কারণ ছাড়াই বার বার ফোন চেক করার আত্মবিশ্বাসের কমতি প্রকাশ করে। এতে উদ্বেগ তৈরি হয়। কারও ফোনের অপেক্ষায় থাকা, মেসেজের অপেক্ষায় থাকা মানসিক চাপ তৈরি করে। নিজের জীবন অন্যের প্রতিক্রিয়ার ওপর ছেড়ে দেবেন না।
যেকোনো সমালোচনাকে ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া: গঠনমূলক সমালোচনা আপনার করণীয় ঠিক করতে সহায়তা দেবে। তাই সমালোচনাকে সব সময় খারাপভাবে গ্রহণ না করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। এতে আত্মশক্তি বাড়বে।
নিজের যত্ন নিতে অনীহা: নিজের যত্ন নেওয়াকে যদি আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয় তাহলে এটাকে সেলফ টক্সিসিটি বলতে পারেন। মনে রাখা জরুরি যে, নিজের শারীরিক, মানসিক, যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা, এটাকে বিলাসিতা মনে করবেন না।
অন্যের মতামত নিয়ে উদ্বিগ্ন: অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলে আত্মসম্মান কমতে পারে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের জীবনধারা দেখে নিজেকে বঞ্চিত মনে করবেন না। এগুলোর প্রায় সবই সাজানো, গোছানো। কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের জন্যই এতোসব আয়োজন। আপনি বরং চারপাশের মানুষের বাস্তব জীবন দেখুন, বুঝুন, উপলব্ধি করুন আর নিজের মানসিক শক্তি উন্নত করুন।
সবসময় অন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখানো : সব সময় অন্যের প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দেওয়া আত্মসম্মান ঘাটতির লক্ষণ। এই সমস্যা সমাধানে ‘না’ বলা রপ্ত করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন য র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আহার্য
মহানবী (সা.) একবার তার সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললেন কিছু পাথর নিয়ে আসতে। তবে হাড় বা গোবর আনতে নিষেধ করলেন। আবু হুরায়রা (রা.) কাপড়ে করে কিছু পাথর এনে সেগুলো নবীজি (সা.)-এর পাশে রেখে চলে গেলেন। নবীজি (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার পর আবু হুরাইরা জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর রাসুল, হাড় ও গোবরে সমস্যা কী? তিনি উত্তরে বললেন, সেগুলো জিনদের খাবার। নাসিবিন শহরে (সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যে আলজাযিরার একটি নগরী) জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা সবাই খুব ভালো জিন। আমার কাছে খাবার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। আমি আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি। তাই তারা যে হাড় বা গোবরের পাশ দিয়ে যাবে, তাতেই নিজেদের জন্য খাবার খুঁজে পাবে। (বুখারি, হাদিস: ৩,৫৭৮)
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫তাই কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায় এবং হাড় থেকে মাংস খাওয়ার পর নাপাক স্থানে না ফেলে, মুমিন জিনেরা সেই হাড় হাতে নিলে তাতে গোশত ফিরে আসবে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩,২৫৮)
আর দুষ্ট জিন ও শয়তানরা খায় এমন খাবার, যাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয় না। যেসব খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা হয়, সেগুলো তারা ছুঁয়েও দেখে না।
গোবরে জিনদের পশুদের জন্য খাবার জমা হয়। তার মানে জিনদের পোষা প্রাণী আছে এবং তারা তাতে আরোহণ করে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘গোবর বা হাড় নাপাকি পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করো না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জিনদের খাবার।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৮)
আরও পড়ুনকোরআন শুনে একদল জিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন০৬ আগস্ট ২০২৩