একবার ব্যবহৃত তেল আবার রান্নার কাজে ব্যবহার করা আদতে স্বাস্থ্যকর নয়। ব্যবহৃত তেল আবার ব্যবহার করতে চাইলেও তা করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এবং নিয়ম মেনে। আবার তেল ফেলে দেওয়ার সময় পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চলুন, টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খানের কাছ থেকে বিষয়টা ভালো করে জেনে নিই।

ডুবোতেলে ভাজা খাবার শিশু-কিশোরেরা পছন্দ করে। মুখরোচক এসব খাবার থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালরিও পায় তারা। কিন্তু ডুবোতেলে খাবার ভাজতে হলে উচ্চ তাপমাত্রায় তেল গরম করতে হয়। তাতে তেলের গঠনগত পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের ফলে তেল পুনরায় ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্যকর থাকে না। পুনর্ব্যবহৃত তেলে ভাজা খাবার খেলে রক্তের খারাপ চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বাড়ে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি। তো আপনি সয়াবিন, ক্যানোলা কিংবা সূর্যমুখী—যে তেলই ব্যবহার করুন না কেন। অবশ্য রান্নার পাত্রে তেল ঢালার আগেই পাত্রটি গরম করে নিলে তেলের এই গঠনগত পরিবর্তন হয় ধীরে। তাই সেই তেল আবার ব্যবহার করলেও এসব ঝুঁকি কম থাকে।

ভাজা তেল সংরক্ষণতেল ব্যবহার করার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পুনরায় ব্যবহার করতে হবে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর র ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

গাজীপুরে কৃষক দলের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের দাখিনখান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রাকিব মোল্লা (২৯)। তিনি দাখিনখান এলাকার বাসিন্দা ও গাজীপুর সদর থানা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দাখিনখান এলাকায় ইন্তাজ ও সেলিম মিয়া নামের দুজনে মিলে কেব্‌ল টিভি (ডিশ) ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা করছিলেন। সম্প্রতি রাকিব মোল্লা সেই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নেন। এ নিয়ে এলাকাটিতে উত্তেজনা চলছিল। রাকিবের সঙ্গে ইন্তাজ ও সেলিম মিয়ার প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গতকাল রাত ৯টার দিকে রাকিব দাখিনখান এলাকায় অবস্থান করছেন—এমন খবরে প্রতিপক্ষ ইন্তাজ, সেলিমসহ অন্তত ৭ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেখানে যান। একপর্যায়ে তাঁরা রাকিবের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে রাকিব গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে গেলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইন্তাজ ও সেলিম পালিয়ে যান। এ কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ