পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তের ওপারে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নাগরিক আল আমিনের (৩৬) লাশ ফেরত পাঠানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় তেঁতুলিয়া মডেল থানা-পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। পরে তেঁতুলিয়া মডেল থানা-পুলিশ নিহত আল আমিনের লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।

লাশ হস্তান্তরের সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত আল আমিনের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত কবির লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আল আমিন পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের জিন্নাতপাড়া এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি সীমান্তে চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।

এর আগে গত শুক্রবার রাত তিনটার পর পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভিতরগড় সীমান্তে ৭৪৪ নম্বর মেইন পিলারের ৭ নম্বর সাবপিলার-সংলগ্ন এলাকার ওপারে ভারতের ভাটপাড়ায় কাঁটাতারের বেড়ার লিংক রোড-সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফের গুলিতে মারা যান আল আমিন। পরে বিএসএফ লাশটি ভারতের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ওই ঘটনার পর বিজিবির সঙ্গে শনিবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে ও সোমবার সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে দুই দফা পতাকা বৈঠক হয়। তখন পুলিশ ও হাসপাতালের আইনি কার্যক্রম শেষে লাশ ফেরত দেওয়ার কথা জানায় বিএসএফ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহত আল আমিনের ভাতিজা সাব্বির হোসেন বলেন, ‘রাতে পুলিশ আমাদের কাছে চাচার (আল আমিনের) লাশ হস্তান্তর করার পরপরই বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় স্থানীয় পাহাড়বাড়ি কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।’

হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম মুঠোফোন প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের লাশ চার দিনের মাথায় হস্তান্তর করেছে ভারতের পুলিশ। রাতে স্বজনেরা আল আমিনের লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। বুধবার সকাল ৯টায় তাঁর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ র গ ল ত

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তের ইছামতি নদীতে ভাসছে যুবকের লাশ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তের ইছামতি নদীতে এক যুবকের মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে। সীমান্তের হুদাপাড়া গ্রামের ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত লাশটি ভাসতে দেখার কথা জানান স্থানীয়রা। 

লাশটি নদীর যে অংশে রয়েছে সেটি ভারতের নদীয়া জেলার ধানতলা থানার হাবাসপুর এলাকা।

এলাকাবাসী জানান, আজ দুপুরের পর হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক নদীর পাড়ের মাঠে যান। এসময় তিনি নদীতে লাশ ভাসতে দেখেন। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে এসে লাশের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। লাশ নদীতে ভাসতে থাকায় তার নাম বা পরিচয় জানা যায়নি।

আরো পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ৩ জনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, আটক ১

রাজশাহীতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

এলাকাবাসীর ধারণা, ওই যুবক বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারেন। তার বাড়ি মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসিপাড়ায় হতে পারে। তারা মনে করছেন, তিনদিন আগে বাঘাডাঙার ওয়াসিমসহ আরো তিনজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। বিএসএফের হাতে আটক হন ওয়াসিম আলী।

এ বিষয়ে জানতে খালিশপুর ৫৮ বিজিবি’র পরিচালক রফিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, “ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে একটি লাশ পড়ে আছে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে। নিয়মানুযায়ী এ ধরণের ঘটনায় বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কাজেই বিজিবি কোনো কিছু না জানানো পর্যন্ত আমরা কোনো কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারব না। বিজিবির কাছ থেকে চূড়ান্ত তথ্য পাওয়ার পরে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।”

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তের ইছামতী নদীতে বাংলাদেশি যুবকের লাশ, নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • ওয়াকফ আইনবিরোধী আন্দোলনে ফের রণক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ
  • মহেশপুরে ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
  • সীমান্তের ইছামতি নদীতে ভাসছে যুবকের লাশ