গাজীপুরের আবাসিক হোটেলে থেকে নারীসহ আটক ৯, আসবাবপত্রে আগুন
Published: 12th, March 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়িতে হোটেল হ্যাভেন ফ্রেশে অভিযান চালিয়ে আট নারীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হোটেলটিতে ভাঙচুর চালানোর পর আসবাবপত্র ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এনে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে হোটেলটিতে অভিযান চালায় পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি মো.
আরো পড়ুন:
পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের হামলা, ওসিসহ আহত ৩
চট্টগ্রামে হেলমেট চোরে অতিষ্ঠ বাইকাররা, গ্রেপ্তার ২
এলাকাবাসী জানান, পুলিশের অভিযানের পর বিক্ষুব্দ জনতা হোটেলটিতে ভাঙচুর চালায়। তারা হোটেলটির আসবাবপত্র ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় তারা হোটেল বন্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশরাফ নামে এক দোকানি বলেন, “কয়েকদিন পরে ঈদ। আমরা ঈদকে সামনে রেখে নতুন মালামাল উঠিয়েছি। আজকে যদি বিক্ষুব্ধ জনতা দোকানে আগুন ধরিয়ে দিতেন তাহলে আমাদের পথে বসতে হতো। আমরা চাই কোনাবাড়ী থেকে আবাসিক হোটেল আজীবনের জন্য বন্ধ করা হোক।”
কোনাবাড়ী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা অভিযান শেষে থানায় ফেরার পর শুনি, হোটেলে কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর চালিয়ে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়েছে। তাৎক্ষণিক কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এর আগেও হোটেলটিতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোটেল হ্যাভেন ফ্রেশে অভিযান চালিয়ে ২ নারীসহ ১৬ জনকে আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক আগ ন আসব বপত র ন র সহ
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমের মুক্তিসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন বিলোপের দাবি
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই আইন বিলোপেরও দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারি আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।