বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সংস্থাটি ঢাকায় টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার (অ্যাডভোকেসি) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার (অ্যাডভোকেসি)

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: পাবলিক পলিসি, পাবলিক রিলেশনস, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান বা ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে পলিসি অ্যাডভোকেসি, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বা গভর্নমেন্ট এনগেজমেন্টে অন্তত ছয় বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট পলিসি, ক্লাইমেট মাইগ্রেশন ইস্যু ও ন্যাশনাল গভর্ন্যান্স স্ট্র্যাকচার বিষয়ে ভালো জানাশোনা থাকতে হবে। পলিসি অ্যানালাইসিস, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্টে দক্ষ হতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে।

বয়স: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ ৫৫ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (নবায়নযোগ্য)

কর্মস্থল: ঢাকা

বেতন: ১,২০,০০০ টাকা (আলোচনা সাপেক্ষে)।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের কারিতাস বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের এই লিংকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া [email protected] ঠিকানায় সিভি মেইল করেও আবেদন করা যাবে। এই লিংকে আবেদন করার ভিডিও টিউটরিয়াল দেখা যাবে। কারিগরি সহযোগিতায় ০১৭৫৫৫১৮৬৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১৭ মার্চ ২০২৫।

আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, ১৩ থেকে ১৯তম গ্রেডে পদ ১৭৯১১৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালায় থাকছে না নারী ও পোষ্য কোটা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন করে বিধিমালা প্রস্তুত করা হচ্ছে। নতুন এই বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে থাকছে না নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ নামের এই বিধিমালার খসড়া ইতিমধ্যে প্রস্তুত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিকের বর্তমান শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯-এ সহকারী শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। নতুন বিধিমালায় এই তিন কোটা থাকবে না। তবে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার থাকবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের রায় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে ৯৩ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদটি ১৩তম গ্রেডের। তাই এই পদের নিয়োগে ৭ শতাংশের বেশি কোটা রাখার সুযোগ নেই। ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য ১ শতাংশ কোটা। অন্য ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছিলেন, প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। থাকবে না কোনো পোষ‍্য কোটা।

আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবির মধ্য রুটিন প্রকাশ, ৮ মে শুরু১৫ ঘণ্টা আগে

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫–এর খসড়া প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিধিমালার যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর সেটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এলে অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্ম কমিশনে মতামতের জন্য পাঠানো হবে। তাই এটি চূড়ান্ত হতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বর্তমানে সহকারী শিক্ষক পদে ৮ হাজার ৪৩টি শূন্য পদ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় এই শূন্য পদ বেড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার হতে পারে।

শুধু সহকারী শিক্ষক পদই নয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দিতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতার বিষয়টিও নতুন নিয়োগ বিধিমালায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কাম্য যোগ্যতার বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে নতুন বিধিমালায়। নতুন বিধিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হলে এই পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ক্লাস্টারের ভিত্তিতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। একেকটি জেলা-উপজেলায় ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয় মিলে একটি করে ক্লাস্টার হয়। এই হিসাবে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ক্লাস্টার রয়েছে ২ হাজার ৫৮৩টি। একটি ক্লাস্টারের জন্য একজন করে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক নেওয়া হবে। ২০ থেকে ২৫টি বিদ্যালয়ের জন্য ১ জন করে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ক্লাস্টারের হিসাবে দুটি পদ মিলে মোট ৫ হাজার ১৬৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সংগীত বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩ ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ২ হাজার ৫৮৩ জন।

আরও পড়ুনবাংলাদেশীদের জন্য আমেরিকার ফেলোশিপ, করুন আবেদন২১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ শুরু পিএসএল ২০২৫, বিজয়ী দল পাবে কত টাকা?
  • পাশ্চাত্য পোশাকের দাপট দেখা গেল ল্যাকমে ফ্যাশন উইক ২০২৫–এ
  • আনসার ব্যাটালিয়নে চাকরি, আবেদন শেষ কাল
  • প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালায় থাকছে না নারী ও পোষ্য কোটা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১১ এপ্রিল ২০২৫)
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১০ এপ্রিল ২০২৫)
  • বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট বিশ্বমঞ্চে দেশের সম্ভাবনা তুলে ধরার অসামান্য উদ্যোগ
  • চার খাতে সংস্কারেই মিলবে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদনের সময় আবার বৃদ্ধি, ১০০ নম্বরের এমসিকিউ, মেধাতালিকা ২০০ নম্বরে
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৯ এপ্রিল ২০২৫)