মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার নারীসহ মাদক সেবনের ছবি ভাইরাল
Published: 12th, March 2025 GMT
পিরোজপুর মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বাবুল সরকারের এক নারীর সঙ্গে মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ছবিতে দেখা যায়, জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বাবুল সরকার একটি রুমে খাটের ওপরে বসে নিজে খালি গায়ে ও খোলামেলা পোশাকের এক নারীর সঙ্গে বসে মাদক সেবন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা বাবুল সরকারের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি সংযোগ কেটে দেন। খুদে বার্তা পাঠালেও বাবুল জবাব দেননি। এমনকি তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
পিরোজপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বাপন সেন বলেন, ‘আপনারা যেমনটি দেখেছেন, আমরাও তেমনই দেখেছি। উনি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ১০
পটুয়াখালীর বাউফলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের মৈশাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মৈশাদি এলাকায় বিএনপিকর্মী মফিজ হাওলাদার সঙ্গে নওমালা ইউনিয়ন ওয়ার্ড শ্রমিক দল সভাপতি হান্নান হাওলাদারের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার বিকেলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মফিজ হাওলাদারকে মারধর করে হান্নান হাওলাদারের লোকজন। এই মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে মফিজের স্ত্রীর বড় ভাই কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল হান্নানের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হান্নানের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে জহির ও তার সহযোগীদের সংঘর্ষ ঘটে। এক পর্যায়ে জহিরকে আটক করে পিটুনি দিয়ে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জহিরসহ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
আহতদের মধ্যে জহির উদ্দিন (৬০), তাঁর ছেলে মো. তানভীর (২৯) ও ফকরুল ইসলামকে (৪৫) বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কবির হোসেন কিবরিয়া (৪৫) নামে একজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা জহির উদ্দিনের ভগ্নিপতি মফিজুর হাওলাদারের ভাষ্য, তাঁকে মারধর করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে তাঁর স্বজনরা হান্নান হাওলাদারের বাড়িতে গেলে হান্নানের লোকজন তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
হান্নান হাওলাদারের স্বজন কবির হোসেন ও মো. হান্নান বলেন, মফিজুর অন্য এলাকার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারধর করেছে। এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের পিটুনি দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দিয়েছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।