টাইব্রেকারে অ্যানফিল্ড স্তব্ধ করে কোয়ার্টারে পিএসজি
Published: 12th, March 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে একের পর এক আক্রমণ করেও লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি।
এবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে বল পায়ে ও গোলে শট নিয়ে কর্তৃত্ব করেছে লিভারপুল। তবে ডেম্বেলের গোলে ১-০ গোলে হারে অল রেডসরা।
ম্যাচ দুই লেগ মিলিয়ে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও সমতায় শেষ হওয়ায় টাইব্রেকারে যায়। সেখানে ৪-১ গোলে জিতেছে পিএসজি।
লিভারপুল ঘরের মাঠে প্রথম তিন শটের দুটি মিস করে। পিএসজি চার শটেই গোল করে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে নকআউটে আসা লিভারপুলকে বিদায় করে দিয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে নিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশকে মেরে বসলেন তিনি
অপরাধীরা সাধারণত কারাগারে যেতে চান না। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে কত ফন্দিফিকিরই না করেন তাঁরা। সেখানে ভারতের মুকেশ কুমার রাজাক কোনো অপরাধ না করেও কারাগারে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। পুলিশ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করতে রাজি না হওয়ায় মুকেশ এক হোম গার্ডকে মেরে বসেন।
মুকেশ ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের কোডারমা জেলার বাসিন্দা। নিউজ১৮–এর খবর অনুযায়ী, উদ্ভট ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের ডুমচাঞ্চ থানা এলাকার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে।
মুকেশ একদিন সেখানে হাজির হয়ে হোম গার্ড (হোম গার্ড ভারতীয় পুলিশেরই অংশ) চেতন মেহতার কাছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। ওই সময় চেতন সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুকেশকে পুলিশ সদস্য চেতন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কারাগারে যেতে হলে আইনি কারণ লাগে। কোনো অভিযোগ ছাড়া তিনি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না।
চেতনের কথায় কান না দিয়ে মুকেশ বারবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এরপরও তাঁর দাবি মানা না হলে হঠাৎই তিনি চেতনের ওপর চড়াও হন এবং তাঁর মুখে কয়েকবার আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মুকেশকে আটক করেন চেতন।
আটক করার পর মুকেশকে ডুমচাঞ্চ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুকেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোডারমা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মুকেশ ভয়াবহ মানসিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি কারাগারে যাওয়ার দাবি তোলেন এবং পুলিশকে আঘাত করেন।