ম্যাচটা যখন টাইব্রেকারে গড়ায়, হয়তো একটু বেশিই আশাবাদী ছিল লিভারপুল। গোলপোস্টের নিচে যে আলিসন বেকার আছেন!

কিন্তু প্রথম লেগে ৯টি সেভ করা লিভারপুল গোলকিপার এবার টাইব্রেকারে ঠেকাতে পারলেন না একটি শটও। কিন্তু পিএসজির হয়ে দুটি শট ঠিকই আটকে দিলেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।

চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে গোলকিপার দোন্নারুম্মার বীরত্বে টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। শেষ ষোলোতেই বিদায় হয়েছে লিভারপুলের।

বিস্তারিত আসছে ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেংয়ের অবহেলিত জন্মস্থান এখন জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র

প্রযুক্তি দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেওয়া ডিপসিক এআই চ্যাটবটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং তারকা বনেছেন বেশ আগেই। এবার লিয়াং ওয়েনফেংয়ের জন্মস্থান দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের মিলিলিং গ্রাম পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। একসময়ের অবহেলিত ছোট গ্রামটির বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা ছিল কৃষিকাজ। কেউ আবার জুতার কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে ডিপসিক চ্যাটবট উন্মুক্ত করার পরপরই গ্রামটিতে দর্শনার্থীরা আসতে থাকেন। সম্প্রতি দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে স্থানীয় প্রশাসন গ্রামটির ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন শুরু করেছে। বাড়িঘরে নতুন রং করার পাশাপাশি রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক নর্দমাব্যবস্থাও।

মিলিলিং গ্রাম কমিটির পরিচালক লিয়াং ওয়েনফেন জানিয়েছেন, গত জানুয়ারির শুরু থেকেই গ্রামে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বসন্ত উৎসবের ছুটির সময় (গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি) প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজারের বেশি দর্শনার্থী এসেছেন এই গ্রামে। অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতার কারণে শুরুতে পর্যটকদের নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হতো। পর্যাপ্ত শৌচাগার ছিল না, রাস্তাঘাট সরু ও খানাখন্দে ভরা ছিল। এই সংকট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু করেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যটনসুবিধা বাড়াতে মিলিলিং গ্রামের ২৯টি বাড়ির বাহ্যিক অংশ সংস্কার করা হয়েছে। জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাস্তা প্রশস্ত করার পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতে নতুন গাছও লাগানো হয়েছে।

আরও পড়ুনতারকা বনে গেছেন ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গ্রামের এক বাসিন্দা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, ‘অনেকে গ্রামে এসে হাত ভর্তি করে মাটি কিংবা ছোট ছোট পাথর নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার গাছের পাতা ছিঁড়ে নিচ্ছেন।’ তবে পর্যটকদের এই অতিরিক্ত আগ্রহ লিয়াং ওয়েনফেংয়ের পরিবারের জন্য কিছুটা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, গ্রামের বাড়িতে লিয়াং ওয়েনফেংয়ের দাদা একা বাস করেন। পর্যটকদের কৌতূহলী দৃষ্টি ও সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তিনি এখন বেশির ভাগ সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন।

আরও পড়ুনচীনের ডিপসিক এআই মডেল নিয়ে কেন এত আলোচনা২৮ জানুয়ারি ২০২৫

প্রসঙ্গত, লিয়াং ওয়েনফেং মিলিলিং গ্রাম থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। বিশ্বজুড়ে আলোচনার শীর্ষে থাকলেও ওয়েনফেং নিজেকে আড়ালে রাখতে চান। তাই তিনি বরাবরই জনসমক্ষে আসার বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ