ইসলামী ব্যাংকে এস আলম সংশ্লিষ্ট ২৪ পরিচালকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 12th, March 2025 GMT
ইসলামী ব্যাংকে এস আলম (সাইফুল আলম) সংশ্লিষ্ট ২৪ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও ব্যক্তিবিশেষের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসব শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.
এস আলম সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত ২৪ শেয়ারহোল্ডার কোম্পানি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ব্যাংকটিতে শেয়ারের পরিমাণ ৮১ দশমিক ৯২ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মনিরুল মওলা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের শেয়ার অবরুদ্ধ রাখার বিষয়ে রিট করেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসরণ না করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে ওই কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ার ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এ রিটটি করা হয়।
আদেশের পর আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এস আলম সংশ্লিষ্ট ২৪ প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ব্যাংকের এজিএমে অংশ নিলে ভোটাধিকারের মাধ্যমে তাদের মতো করে এজেন্ডা পাস করে নেবেন। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার পরিচালক তারা। অথচ আইন অনুসারে ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার একই গ্রুপভুক্ত বা পারিবারিকভাবে রাখা যায় না। কিন্তু একই পরিবারের মদতপুষ্ট প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সূত্রে ২৪ কোম্পানি প্রাতিষ্ঠানিক শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ব্যাংকটিতে যুক্ত হয়। তাদের শেয়ার ৮১ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ কারণে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিটটি করেন। হাইকোর্ট রুল জারিসহ সংশ্লিষ্টদের শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এস আলম অবর দ ধ এস আলম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের আইনি সহযোগিতা না দেওয়ার ঘোষণা
মাগুরায় ৮ বছরের শিশুর ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতি। এসময় তারা ওই ঘটনায় জড়িতদের আইনি সহযোগিতা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা জজ আদালতের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন আইনজীবীরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকে শাহেদ হাসান টগর, অ্যাডভোকে রকুনুজ্জামান ও নারী শিশু নির্যাতন ট্রাবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল।
আরো পড়ুন:
ছেলের পর কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’ করেন বাবা
কুমিল্লায় ৪৮ ঘণ্টায় ৩ ঘটনা, ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থায় ‘ঘাটতি’
বক্তারা বলেন, তারা শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। তারা ধর্ষকদের পক্ষে কোনো আইনি সহযোগিতা প্রদান করবেন না বলেও ঘোষণা দেন।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ