যুবদল নেতার বাড়ি ভাঙচুর মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 12th, March 2025 GMT
ফরিদপুরের সালথায় যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পুটিয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জাকির নকুলহাটি গ্রামের মৃত জয়নুদ্দিন মোল্লার ওরফে জয়নাল আবেদিন মোল্লার ছেলে ও আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি যুবদল নেতা হাসান আশরাফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং তার একটি টিনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় জাকির মোল্লা এবং বিএনপি নেতা নাসির মাতুব্বর ও তার কয়েকশত সমর্থক। এ সময় হাসান আশরাফের সমর্থক স্থানীয় ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ মোল্যার দুটি ঘর, ইউনুস মোল্যার দুটি ঘর, বিভাগদী গ্রামের শহীদ সরদারের বাড়ি ঘর ও শফিকের একটি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনটি মামলা হয়। তিন মামলার আসামি জাকির। এই ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে জমি নিয়ে বিরোধ, বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন, ১৪৪ ধারা জারি
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের আটঘরিয়া বাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হরিপুর উপজেলার মরাধার গ্রামের ইয়াসিন আলীর সঙ্গে পাশের আটঘরিয়া গ্রামের মো. মাহাতাবের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের পর ইয়াসিন লোকবল নিয়ে ওই জমি দখলে নেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাহতাব ও তাঁর লোকজন সেই জমি উদ্ধারে সেখানে যান। এ সময় ইয়াসিনের লোকজনের সঙ্গে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ান। দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষ এলাকার বাড়িতে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৫ বসতঘরে আগুন দেওয়া।
আগুনে ঘরগুলোর জিনিসপত্র পুড়ে যায়। হামলায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া মণ্ডল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।