রংপুরের কাউনিয়ায় চাঞ্চল্যকর খোরশেদ আলম হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কাউনিয়া উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম, গদাধর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাসেল মিয়া, মহেশা গ্রামের শাহাজামালের ছেলে ইউনুস আলী এবং শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মামুন মিয়া।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মহেশা গ্রামের খোরশেদ আলমের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০২০ সালের ২০ মার্চ কাউনিয়ার ভরসা কোল্ড স্টোরেজ থেকে ডেকে এনে খোরশেদ আলমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ আমগাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখেন আসামিরা। এ ঘটনায় খোরশেদ আলমের মা খোতেজা বেগম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি আফতাব উদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল আলম ও আব্দুর রশীদ চৌধুরী।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. টাঙ্গারা ঢাকায়

রোহিঙ্গা নির্যাতনের কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারা তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ)  রাত ২টায় ঢাকায় পৌঁছান তিনি।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদুয়া টাঙ্গারা ঢাকা সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন।  

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন তিনি।

আরো পড়ুন:

২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প পায় যুক্তরাষ্ট্রেরই সংস্থা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক শক্তিশালী রাখা দরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা চেম্বারের নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

তার ঢাকা সফরকালে দুই দেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক সই হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথমবার ঢাকা সফর করেছিলেন তিনি।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারকে ২০১৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) বিচারের মুখোমুখি করে গাম্বিয়া। 

আইসিজে হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ; ১৯৪৫ সালে গঠনের পরের বছর থেকে এই আদালত কার্যকর। স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকে এ আদালত।

গাম্বিয়া তাদের ৪৬ পৃষ্ঠার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের আবাস ধ্বংসের কথা তুলে ধরে। সেই মামলার বিচারকাজ চলছে। 

ঢাকা/হাসান/রাসেল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ