রংপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
Published: 12th, March 2025 GMT
রংপুরের কাউনিয়ায় চাঞ্চল্যকর খোরশেদ আলম হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কাউনিয়া উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম, গদাধর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাসেল মিয়া, মহেশা গ্রামের শাহাজামালের ছেলে ইউনুস আলী এবং শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মামুন মিয়া।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মহেশা গ্রামের খোরশেদ আলমের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০২০ সালের ২০ মার্চ কাউনিয়ার ভরসা কোল্ড স্টোরেজ থেকে ডেকে এনে খোরশেদ আলমকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ আমগাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখেন আসামিরা। এ ঘটনায় খোরশেদ আলমের মা খোতেজা বেগম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি আফতাব উদ্দিন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহিরুল আলম ও আব্দুর রশীদ চৌধুরী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আত্মপ্রকাশ করল নতুন দল গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি
আত্মপ্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তি নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। দলটির স্লোগান ‘এ লড়াই জাতীয় মুক্তি, সাম্য, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার’।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে নতুন দলের আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দেন এর চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মালেক ফরাজী।
অনুষ্ঠানে আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, ‘আমি দেশের প্রতি ভালোবাসা ও সচেতন নাগরিক হিসেবে, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে, একজন সমাজকর্মী হিসেবে মনে করছি, ড. ইউনূস সাহেবের মতো আরও কিছু ব্যক্তিত্ব দেশ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন। তবে আমি সেই বিতর্কে যাচ্ছি না, কতদিন প্রয়োজন, পাঁচ বছর না পাঁচ মাস। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, যোগ্যদের নেতৃত্বে এই দেশ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর গর্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ এখন নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে। ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে। সেখানে যে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে, আমরা পারতাম একটি বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা করতে। একটি বিপ্লবী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি ও সংবিধান বাতিল করে নতুন যুগের সূচনা করতে পারত। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি। কারণ আমাদের দুর্ভাগ্য যে সম্মিলিত শক্তির অভাব ছিল।’
অনুষ্ঠানে গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল হোসেন খান দলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, চলমান পক্ষপাতিত্বের রাষ্ট্র ব্যবস্থার আমূল বদলে দেওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের অভিযাত্রায় নতুন রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তির আত্মপ্রকাশ ঘোষণা করছি। নতুন রেনেসাঁ, নতুন গণজাগরণ, নতুন রাজনীতি ও মহান নেতৃত্ব সৃষ্টি করে আমাদের জাতি সুস্থ, স্বাভাবিক, সমৃদ্ধিশালী, শক্তিমান ও প্রগতিশীল হয়ে উঠবে। আমরা নানা ক্ষেত্রে সৃষ্টি হওয়া বহুস্তরবিশিষ্ট বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশকে মানবিক উন্নয়নের প্রগতিশীল ধারায় স্থাপন করব।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ নিয়াজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণআজাদী দলের সভাপতি মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, অধ্যাপক দেওয়ান ইবনে সাজ্জাদ আফজাল খান, গণতান্ত্রিক নাগরিক শক্তির সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন জামাল প্রমুখ।