খালি পেটে পানি খাওয়া দারুণ অভ্যাস। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে দেহে পানির যে ঘাটতি হয়, তার অনেকটাই পূরণ হয়ে যায় এক গ্লাস পানিতে। পানিতে কিছু মিশিয়ে নিলে পানি হয়ে ওঠে পুষ্টিকর। স্বাদেও আসে ভিন্নতা। তবে পানিতে যেকোনো উপকারী উপাদান মিশিয়ে পানীয় তৈরি করেই যে আপনি খালি পেটে তা খেয়ে নেবেন, ব্যাপারটা কিন্তু এমনও নয়। কিছু কিছু পানীয় খালি পেটে খেলে কারও কারও কিছু অসুবিধা হতে পারে। লেবু মেশানো পানীয়ের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা যেমন। বিস্তারিত জানালেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.

মো. মতলেবুর রহমান

খালি পেটে লেবু–পানি খেলে যা হয়

লেবুর রসে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড। আবার আমাদের পাকস্থলীতে স্বাভাবিক নিয়মেই অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। এটি হলো হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। যখন আপনার পেট খালি থাকে, তখনো কিন্তু পাকস্থলীর এই নিঃসরণ বন্ধ হয় না। বরং লম্বা সময় না খেয়ে থাকলে বেশ কিছুটা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড জমা হয় পাকস্থলীতে। এখন আপনি যদি এ অবস্থায় লেবু–পানি, অর্থাৎ সাইট্রিক অ্যাসিড গ্রহণ করেন, তাহলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাই আপনার অ্যাসিডিটিতে ভোগার ঝুঁকি থাকবে। খালি পেটে লেবু–পানি খেলে তাই কারও কারও টক ঢেঁকুর উঠতে পারে, পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, পেট ফাঁপতে পারে। কারও কারও পেটব্যথাও হতে পারে। লেবুর সঙ্গে অন্য কোনো উপাদান যোগ করা হলেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুনসাহ্‌রির সময় বেশি পানি খেয়ে ফেললে কী হয়?০৮ মার্চ ২০২৫খাবার কিংবা পানি খাওয়ার পর লেবু–পানি খেলে যা হয় খালি পেটে লেবু–পানি খেলে তাই কারও কারও টক ঢেঁকুর উঠতে পারে, পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, পেট ফাঁপতে পারে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগারে নিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশকে মেরে বসলেন তিনি

অপরাধীরা সাধারণত কারাগারে যেতে চান না। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে কত ফন্দিফিকিরই না করেন তাঁরা। সেখানে ভারতের মুকেশ কুমার রাজাক কোনো অপরাধ না করেও কারাগারে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। পুলিশ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করতে রাজি না হওয়ায় মুকেশ এক হোম গার্ডকে মেরে বসেন।

মুকেশ ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের কোডারমা জেলার বাসিন্দা। নিউজ১৮–এর খবর অনুযায়ী, উদ্ভট ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের ডুমচাঞ্চ থানা এলাকার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে।

মুকেশ একদিন সেখানে হাজির হয়ে হোম গার্ড (হোম গার্ড ভারতীয় পুলিশেরই অংশ) চেতন মেহতার কাছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। ওই সময় চেতন সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুকেশকে পুলিশ সদস্য চেতন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কারাগারে যেতে হলে আইনি কারণ লাগে। কোনো অভিযোগ ছাড়া তিনি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না।

চেতনের কথায় কান না দিয়ে মুকেশ বারবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এরপরও তাঁর দাবি মানা না হলে হঠাৎই তিনি চেতনের ওপর চড়াও হন এবং তাঁর মুখে কয়েকবার আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মুকেশকে আটক করেন চেতন।

আটক করার পর মুকেশকে ডুমচাঞ্চ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুকেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোডারমা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মুকেশ ভয়াবহ মানসিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি কারাগারে যাওয়ার দাবি তোলেন এবং পুলিশকে আঘাত করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ