খালি পেটে বা ইফতারের শুরুতে লেবু-পানি খাওয়া কি কারও কারও জন্য ক্ষতিকর
Published: 12th, March 2025 GMT
খালি পেটে পানি খাওয়া দারুণ অভ্যাস। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে দেহে পানির যে ঘাটতি হয়, তার অনেকটাই পূরণ হয়ে যায় এক গ্লাস পানিতে। পানিতে কিছু মিশিয়ে নিলে পানি হয়ে ওঠে পুষ্টিকর। স্বাদেও আসে ভিন্নতা। তবে পানিতে যেকোনো উপকারী উপাদান মিশিয়ে পানীয় তৈরি করেই যে আপনি খালি পেটে তা খেয়ে নেবেন, ব্যাপারটা কিন্তু এমনও নয়। কিছু কিছু পানীয় খালি পেটে খেলে কারও কারও কিছু অসুবিধা হতে পারে। লেবু মেশানো পানীয়ের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা যেমন। বিস্তারিত জানালেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.
মো. মতলেবুর রহমান।
লেবুর রসে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড। আবার আমাদের পাকস্থলীতে স্বাভাবিক নিয়মেই অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। এটি হলো হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড। যখন আপনার পেট খালি থাকে, তখনো কিন্তু পাকস্থলীর এই নিঃসরণ বন্ধ হয় না। বরং লম্বা সময় না খেয়ে থাকলে বেশ কিছুটা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড জমা হয় পাকস্থলীতে। এখন আপনি যদি এ অবস্থায় লেবু–পানি, অর্থাৎ সাইট্রিক অ্যাসিড গ্রহণ করেন, তাহলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। তাই আপনার অ্যাসিডিটিতে ভোগার ঝুঁকি থাকবে। খালি পেটে লেবু–পানি খেলে তাই কারও কারও টক ঢেঁকুর উঠতে পারে, পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, পেট ফাঁপতে পারে। কারও কারও পেটব্যথাও হতে পারে। লেবুর সঙ্গে অন্য কোনো উপাদান যোগ করা হলেও একই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনসাহ্রির সময় বেশি পানি খেয়ে ফেললে কী হয়?০৮ মার্চ ২০২৫খাবার কিংবা পানি খাওয়ার পর লেবু–পানি খেলে যা হয় খালি পেটে লেবু–পানি খেলে তাই কারও কারও টক ঢেঁকুর উঠতে পারে, পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে, পেট ফাঁপতে পারেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ
ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির আওতায় সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এটি বিকেল ৪টার দিকে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আরো পড়ুন:
লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন সামিত, জানিয়ে দিলেন আনুষ্ঠানিক সম্মতি
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত গেছে ৪ ট্রাক
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের নেতারা অংশ নেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামারা।
ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। ফিলিস্তিনের পতাকা ও ফিলিস্তিনের মুক্তির স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এ যেন এক টুকরো ফিলিস্তিন! নারী-পুরুষ-শিশুদের পদচারণায় সোহরাওয়াদী উদ্যানসহ এর আশপাশের এলাকায় তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই।
সকাল থেকে রাজধানীর শনিরআখড়া-যাত্রবাড়ী রুট, টঙ্গী, উত্তরা, কেরাণীগঞ্জ, গাবতলী, শ্যামলী দিয়ে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে এবং মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় আসতে শুরু করেন লাখো মানুষ। দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর মোড় থেকে নারী-পুরুষের স্রোত যাচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে।
মিছিলের সম্মুখে কাপড়ে মোড়ানো কয়েকটি লাশের প্রতিকৃতি নিয়ে তারা সোহরাওয়ার্দীর অভিমুখে যাচ্ছিলেন। সে সময় তাদের ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন; ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলের পণ্য, বয়কট বয়কট; ট্রাম্পের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, ইসরাইলের আস্তানা; নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবরসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। রাজধানীর শাহবাগে যেন জনসমুদ্র। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত গোটা শাহবাগ।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ