রাজশাহীতে গত শুক্রবার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকি (৫৮) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

রামেক হাসপাতালের ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, সংঘর্ষের সময় রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকির বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর মাথায় আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তিনি অজ্ঞান ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার পর তিনি মারা যান।

নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হাসান বলেন, আহত রিকশাচালক মারা গেছেন বলে শুনেছি। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা হত্যা মামলা নেব।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আগের দিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান ও তাঁর ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপ। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক রকি ওই রাতে রিকশা রেখে হেঁটে ভাড়া বাসায় ফিরছিলেন। সংঘর্ষের সময় বিএনপির একটি গ্রুপের কর্মীরা প্রতিপক্ষ ভেবে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে। রকির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়ায়। রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা মহল্লায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ র সময় ব এনপ র দ

এছাড়াও পড়ুন:

কারাগারে নিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশকে মেরে বসলেন তিনি

অপরাধীরা সাধারণত কারাগারে যেতে চান না। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে কত ফন্দিফিকিরই না করেন তাঁরা। সেখানে ভারতের মুকেশ কুমার রাজাক কোনো অপরাধ না করেও কারাগারে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। পুলিশ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করতে রাজি না হওয়ায় মুকেশ এক হোম গার্ডকে মেরে বসেন।

মুকেশ ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের কোডারমা জেলার বাসিন্দা। নিউজ১৮–এর খবর অনুযায়ী, উদ্ভট ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের ডুমচাঞ্চ থানা এলাকার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে।

মুকেশ একদিন সেখানে হাজির হয়ে হোম গার্ড (হোম গার্ড ভারতীয় পুলিশেরই অংশ) চেতন মেহতার কাছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। ওই সময় চেতন সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুকেশকে পুলিশ সদস্য চেতন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কারাগারে যেতে হলে আইনি কারণ লাগে। কোনো অভিযোগ ছাড়া তিনি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না।

চেতনের কথায় কান না দিয়ে মুকেশ বারবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এরপরও তাঁর দাবি মানা না হলে হঠাৎই তিনি চেতনের ওপর চড়াও হন এবং তাঁর মুখে কয়েকবার আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মুকেশকে আটক করেন চেতন।

আটক করার পর মুকেশকে ডুমচাঞ্চ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুকেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোডারমা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মুকেশ ভয়াবহ মানসিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি কারাগারে যাওয়ার দাবি তোলেন এবং পুলিশকে আঘাত করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ