লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকায় শাকিল (১০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই গ্রামের সহিদুলের বাড়িসংলগ্ন একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের নিচে পুঁতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দিতে না পারায় তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। 

নিহত শাকিল লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামের শফিকুলের ছেলে। সে স্থানীয় আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শাকিলের মা অন্ধ ও বাবা ঢাকায় কাজ করেন। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার দুপুরে শাকিলকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পরপরই একটি মোবাইল নম্বর থেকে শাকিলের মা জয়নবের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তাঁর ছেলে সোহানকে আটক করে। গতকাল দুপুরে আটক করা হয় সোহানের মা সাহানাকে। পরে আটক সোহানের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার স্থানীয় সহিদুলের বাড়িসংলগ্ন একটি কাঁচা সেপটিক ট্যাঙ্কের নিচে পুঁতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে। 

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুরনবী বলেন, শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। 


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শাহ আলীতে যুবদল নেতাকে মারধর, অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭

রাজধানীর শাহ আলী থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে মারধর ও অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শান্ত ইসলাম (২২), সিজয় আহমেদ ওরফে রমজান আলী (২৫), মো. আলম (৩৮), রবিউল ইসলাম রুবেল ওরফে ডুক্কু রুবেল (৩০), ইয়াকুব আলী (৩০), আমিনুল ইসলাম (৩০) ও মো. সোহেল (৩১)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম শাহ আলী থানা যুবদলের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল যুবদল কর্মী রাব্বি খান লোকজন নিয়ে ছাত্র–জনতা হত্যায় অভিযুক্ত যুবলীগের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি শরিফকে আটক করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছার আগেই রফিকুল ইসলাম তাঁর অনুসারীদের নিয়ে শরিফকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এই নিয়ে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাদী জহিরুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই সূত্র ধরে ১৫ এপ্রিল রাত পৌনে ১১টার দিকে শাহ আলীর ঈদগাহ মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে জহিরুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। লোকজন বাধা দেওয়ায় তাঁকে নিতে পারেনি। পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১৫–২০ জন দেশি অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, চাপাতি, রামদা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ জহিরুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্তানদের ফিরিয়ে দিন হাত জোড় করছি
  • শাহ আলীতে যুবদল নেতাকে মারধর, অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
  • চবির ৫ শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত, বিশেষ অভিযান চলছে: সেনাবাহিনী
  • আপন মামার হাতে খুন রোহিঙ্গা কিশোর, মুক্তিপণ দিয়েও রক্ষা হয়নি
  • গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্র সাব্বির হত্যার বিচারের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান
  • ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে চবির ৫ শিক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগ
  • বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে মামার হাতে ভাগনে খুন
  • উদ্ধার হওয়া খুলি-হাড় নিখোঁজ শিশু সাদিয়ার, দাবি পরিবারের
  • উদ্ধার হওয়া খুলি-হাড় নিখোঁজ শিশু সাদিয়ার, দাবি বাবা-মা
  • গাইবান্ধায় অপহরণের চার দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার