২০ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের
Published: 11th, March 2025 GMT
আগামী ২০ মার্চের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (ডাকসু) রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এছাড়াও এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তপশিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। নির্ধারিত সময়ে রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার বিকেলে ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন ছাত্রসংসদের নেতার। এরপর তারা উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি দেন। ২০১৯ সালের এই দিনে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, জুলাই পরবর্তী প্রেক্ষাপটে ডাকসুর জন্য ছাত্র সমাজের দাবি জোরালো হয়। কিন্তু হতাশার বিষয় অভ্যুত্থানের ৭ মাস পার হলেও ডাকসুর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখতে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে ডাকসু নির্বাচনে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলে আসছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ নিয়ে গড়িমসি দেখছি। কখনো জানুয়ারি আবার ফেব্রুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচনের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা হয়নি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে বাকের বলেন, চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান রয়েছে। এখনই ছাত্রসংসদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সময়। তিনি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে নিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশকে মেরে বসলেন তিনি
অপরাধীরা সাধারণত কারাগারে যেতে চান না। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে কত ফন্দিফিকিরই না করেন তাঁরা। সেখানে ভারতের মুকেশ কুমার রাজাক কোনো অপরাধ না করেও কারাগারে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। পুলিশ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করতে রাজি না হওয়ায় মুকেশ এক হোম গার্ডকে মেরে বসেন।
মুকেশ ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের কোডারমা জেলার বাসিন্দা। নিউজ১৮–এর খবর অনুযায়ী, উদ্ভট ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের ডুমচাঞ্চ থানা এলাকার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে।
মুকেশ একদিন সেখানে হাজির হয়ে হোম গার্ড (হোম গার্ড ভারতীয় পুলিশেরই অংশ) চেতন মেহতার কাছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। ওই সময় চেতন সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুকেশকে পুলিশ সদস্য চেতন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কারাগারে যেতে হলে আইনি কারণ লাগে। কোনো অভিযোগ ছাড়া তিনি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না।
চেতনের কথায় কান না দিয়ে মুকেশ বারবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এরপরও তাঁর দাবি মানা না হলে হঠাৎই তিনি চেতনের ওপর চড়াও হন এবং তাঁর মুখে কয়েকবার আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মুকেশকে আটক করেন চেতন।
আটক করার পর মুকেশকে ডুমচাঞ্চ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুকেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোডারমা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মুকেশ ভয়াবহ মানসিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি কারাগারে যাওয়ার দাবি তোলেন এবং পুলিশকে আঘাত করেন।