তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, পুলিশকে সহযোগিতা করুন, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে  এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত কয়েক দিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ অ্যাকটিভ (সক্রিয়) হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন; কিন্তু তারাও পুলিশ ছাড়া একা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি অ্যাকটিভ না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের মনোবল একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়ার ফল বিরূপ হতে বাধ্য। আর হ্যাঁ, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদি কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও কীভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।’

উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে, আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু, একটা নাগরিক আন্দোলন যাতে অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির ওপর বর্তায়। কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী এবং নাগরিকদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে- এসব অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটেজকারীদের নিতে হবে।’

যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে ‘মবের’ বিচারের মানসিকতা পরিত্যাগ করা উচিত উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার, সকল নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান; কিন্তু নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে।’

মাহফুজ আলম আরও লেখেন, ‘সরকারবিরোধিতা কোনো ফ্যাশন স্টেইটমেন্ট না কমরেডস! গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান রইলো। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে।’

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনা-ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রাজধানীর শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে গুলির ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, গণ জাগরণ মঞ্চের ইমরান এইচ সরকারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার থাকা জিয়াউল আহসানসহ চারজনকে এই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।  

আগামী ১২ মে তাদেরকে হাজির করতে ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এম এইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী। ‌

সম্পর্কিত নিবন্ধ