ঈদ মানেই নতুন পোশাকের আনন্দ। ছোটদের জন্য এটি আরও বিশেষ কিছু। বড়দের তুলনায় শিশুর পোশাক নিয়ে আগ্রহ থাকে বেশি; কারণ তাদের পোশাকগুলো শুধু আরামদায়কই নয়, দেখতে হয় নজরকাড়া ও উৎসবের আমেজে ভরপুর। এবারের ঈদ উপলক্ষে দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো এনেছে নান্দনিক ডিজাইন ও আরামদায়ক ফেব্রিকের শিশু কালেকশন। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে ডিজাইন করা হয়েছে ফ্রক, পাঞ্জাবি, লেহেঙ্গা, শার্ট-প্যান্টসহ নানা ধরনের পোশাক। কারচুপি, জরির কাজ ও এমব্রয়ডারির অপূর্ব ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পোশাকগুলো, যা শিশুর ঈদ আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলবে। ফ্যাশন ডিজাইনারদের মতে, এবারের ঈদুল ফিতর পড়ছে গরমের সময়। এ কারণে শিশুর পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আরামের কথাটাও মাথায় রাখা জরুরি।
সারার ঈদ কালেকশন: সারার ডিজাইনার সামিহা ইসলাম জানান, তিন মাস থেকে ১৩ বছর বয়সী মেয়েদের জন্য রয়েছে তাদের ঈদ কালেকশন। পোশাকে রঙের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে নীল, সোনালি, গোলাপি, বেগুনি ও সবুজ। পারসিয়ান শিল্প ও সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায় ফ্রক, সালোয়ার-কামিজ ও স্কার্ট ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে রয়েছে কারচুপি, জরির কাজ ও এমব্রয়ডারির বিশেষ ছোঁয়া। সারায় শিশুর পোশাক পাওয়া যাবে ৩৫০ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
এ ডিজাইনারের মতে, শিশুর পোশাক তৈরিতে আরামদায়ক ফেব্রিক বেছে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখে সারার ঈদ কালেকশনে ব্যবহার করা হয়েছে কটন, জর্জেট, আর্টিফিশিয়াল সিল্ক, ক্রেপ সিল্ক ও টিস্যুর মতো উন্নত মানের কাপড়। ছোটদের পোশাকে মিষ্টি নকশা প্রাধান্য পেয়েছে। ফেব্রিকের ক্ষেত্রে কটন, জর্জেট, আর্টিফিশিয়াল সিল্ক, ক্রেপ সিল্ক, টিস্যু ব্যবহার করা হয়েছে।
রিচম্যানের ঈদ কালেকশন: বড়দের মতো ঈদে ছেলেশিশুরও পছন্দের পোশাকের মধ্যে অন্যতম পাঞ্জাবি। রিচম্যান এবার ছেলেশিশুর জন্য নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি ও আরামদায়ক ডিজাইনের পাঞ্জাবি কালেকশন। ফেব্রিকের ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে কটন, লিনেন ইত্যাদি। এখানে ছেলেশিশুর পোশাক পাওয়া যাবে ১ হাজার ৯০ থেকে ২ হাজার টাকায়।
ইনফিনিটি মেগা মলের ঈদ আয়োজন
ঈদ উপলক্ষে ইনফিনিটি মেগা মলে শিশুর জন্য এসেছে নানা পণ্য। নিউবর্ন, টোডলারের পাশাপাশি মেয়েশিশুর জন্য থাকছে সিঙ্গেল কামিজ, ওয়েস্টার্ন টপস, সালোয়ার-কামিজ, ফ্রক, টি-শার্ট, লেহেঙ্গা ইত্যাদি। ফেব্রিকের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, মিক্সড কটন, জর্জেট কাপড়। এখানে শিশুর পোশাক পাবেন ৫৫০ থেকে ৪ হাজার টাকায়।
আড়ংয়ে ঈদ কালেকশন: ঈদ ফ্যাশনে বরাবরই আলাদা স্থান দখল করে আছে ‘আড়ং’। এবারের ঈদে আড়ং শিশুদের জন্যও এনেছে বিশেষ কালেকশন। নবজাতক থেকে শুরু করে ৯ বছর বয়সী শিশুর জন্য থাকছে বাহারি ডিজাইনের পোশাক।
নবজাতক থেকে দেড় বছর বয়সী মেয়েশিশুর জন্য এখানে পাবেন নিমা, ফ্রক, স্কার্ট-টপ, সালোয়ার-কামিজ, ঘাঘরা চোলি। নবজাতক থেকে দেড় বছর বয়সী ছেলেশিশুর জন্য পাওয়া যাবে পাঞ্জাবি-পায়জামা সেট, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট। ২ থেকে ৯ বছর বয়সী মেয়েশিশুর জন্য রয়েছে ফ্রক, শাড়ি, পার্টি ড্রেস। ২ থেকে ৭ বছর বয়সী ছেলেশিশুর জন্য পাবেন পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট। আড়ংয়ে শিশুর পোশাকের দাম ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
‘কে ক্র্যাফট’-এর কালেকশনে মেয়েশিশুর জন্য রয়েছে সালোয়ার-কামিজ, লেহেঙ্গা সেট ও পার্টি ফ্রক। ছেলেশিশুর জন্য ডিজাইনিং পাঞ্জাবি এবং বাবা-ছেলের ম্যাচিং ফতুয়া আছে। এসব পোশাকে ফেব্রিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নিব কটন, জর্জেট ফেব্রিক এবং টাই-ডাই প্রিন্ট।
ফ্যাশন হাউস ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শপিং মল থেকে ছোটদের পোশাক কিনতে পারেন; যারা একটু ডিজাইনসংবলিত পোশাক বানাতে চাইছেন বাড়ির ছোট সদস্যের জন্য, তারা বিভিন্ন দর্জিবাড়িতে গিয়ে কাস্টমাইজড পোশাক বানিয়ে নিতে পারেন। v
মডেল: মানহা জামান রাজকন্যা পোশাক: বি২; ছবি: কাব্য
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য় শ শ র জন য ছ ল শ শ র জন য র ঈদ ক ল কশন ব যবহ র কর বছর বয়স ড জ ইন র র র ঈদ
এছাড়াও পড়ুন:
পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
জাতীয়ভাবে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তাও আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে৷। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করা হচ্ছে। তাছাড়া নববর্ষের শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শোভাযাত্রার সামনে-পেছনে পুলিশ থাকবে কি না, এ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ উদযাপনের পুরো বিষয়টি আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারাই নির্ধারণ করবে কারা কোথায় থাকবে। পুলিশ তো বাংলাদেশেরই নাগরিক। সবাই যদি আনন্দ শোভাযাত্রা করতে পারে, তবে পুলিশ বাহিনীও তা করতে পারবে।
ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নামে বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অফিস-দোকান ভাঙচুর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, সারা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সারা দেশে এর সঙ্গে জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে কি না, এ বিষয়ে আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। কেননা, শোভাযাত্রার আয়োজক তারাই।
তিনি বলেন, নববর্ষ উদযাপনের বিষয়ে আগামীকাল (৯ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। আমাদের প্রস্তুতিও ব্যাপক। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ উপলক্ষে মেলাও আয়োজন করা হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় সরকারের উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ