Samakal:
2025-04-14@14:24:47 GMT

ঈদের পাঞ্জাবি

Published: 11th, March 2025 GMT

ঈদের পাঞ্জাবি

যুগ যুগ ধরে ঈদের সাজগোজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং চিরায়ত যে পোশাকটি ছেলেদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, সেটি হলো পাঞ্জাবি। এ পোশাকটি ছোট-বড় সবারই পছন্দের। সময়ের পরিবর্তনে ফ্যাশনে ভিন্নতা এলেও, ঈদের পাঞ্জাবিতে  আলাদা এক আকর্ষণ থেকেই যায়।
ফ্যাশন ডিজাইনাররা বলছেন, এবার ঈদ পড়েছে গরমের মধ্যে, তাই হালকা রংগুলো প্রাধান্য পাবে। অনেকেই আছেন ঈদের নামাজ পড়ে সারাদিনই পাঞ্জাবি পরে কাটান। এ কারণে পাঞ্জাবির কাপড়ে আরাম দিতে সুতির কোনো বিকল্প নেই। গরমের এ সময় দিনের বেলায় পরার জন্য খুব বেশি জমকালো না বরং অল্প নকশাই ভালো দেখাবে।
একসময় ঈদের পাঞ্জাবি মানেই ছিল সাদা, অফ-হোয়াইট বা হালকা রঙের সুতি কাপড়ে সূচিকর্ম বা মুদ্রিত নকশার সাধারণ ডিজাইন। তবে বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডে এসেছে বৈচিত্র্য। প্রতিবছরই পাঞ্জাবির কাট, নকশা, লেন্থ, কারুকাজ পরিবর্তিত হয়। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাটারিয়ালের পাঞ্জাবি নিয়ে আসে ফ্যাশন হাউসগুলো। নকশা ও কাটছাঁটে থাকে নানা বৈচিত্র্য।
বাজার ঘুরে দেখা যায় কাতান, সিল্ক, লিনেন বা জামদানি প্যাটার্নের পাঞ্জাবি এখন দারুণ জনপ্রিয়। এ ছাড়া কুর্তা স্টাইল, চায়নিজ কলার, স্ট্যান্ড কলার, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবিও জায়গা করে নিয়েছে তরুণদের পছন্দের তালিকায়।
ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপারমার্কেটের ফ্যাশন হাউসগুলোয় দেখা যায় বাহারি ডিজাইন ও রঙের পাঞ্জাবির সমাহার, যা সহজেই ক্রেতাকে আকর্ষণ করছে। রাজধানীর অভিজাত ফ্যাশন হাউসগুলো থেকে এখানে অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী দাম যেমন– ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে ক্রেতা পেয়ে যাচ্ছেন তাদের পছন্দের পাঞ্জাবি। 
ফ্যাশন হাউস ‘সেইলর’-এর ডেপুটি ম্যানেজার রাজীব কুমার ভাওয়াল জানান, ‘আমাদের পাঞ্জাবিতে বেশির ভাগই জ্যামিতিক এবং ফার্সি-অনুপ্রাণিত নকশা করা হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে সূক্ষ্ম পিন-টাক ডিটেইলিং, পরিশীলিত পকেট নকশা এবং সংযুক্ত ভেস্টসহ স্টাইলিশ পাঞ্জাবি। স্বতন্ত্র নাবিক ক্যালিগ্রাফি দিয়ে খোদাই করা প্রিমিয়াম ধাতব বোতামগুলো সমাপ্তি স্পর্শ প্রদান করে।’
তিনি আরও জানান, ‘স্পটলাইট সংগ্রহে রয়েছে বিলাসবহুল সুতির লিনেন, সিল্ক কাপড়। এতে সূক্ষ্ম সূচিকর্মের মাধ্যমে পোশাকের উৎকর্ষের প্রতীক প্রদর্শন করে ।’
‘লা রিভ’-এর ডিজাইনার ইশা জাবিন জানান, এবার ঈদে ‘মুভমেন্ট’ থিম নিয়ে তারা কাজ করছেন। ফেব্রিকের ক্ষেত্রে কটন, সিল্ক, জ্যাকার্ড, কিছু শাইনি ব্লেন্ডেড ফেব্রিক প্রাধান্য পেয়েছে। আরামের কথা ভেবে কটন কাপড়েই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। 
মোটিফের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মরক্কোর বিভিন্ন বিখ্যাত স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে। রঙের ক্ষেত্রে আর্দি টোন, টেরাকোটা কালার, গ্রিন, গ্রে ব্রাউন, কুল ব্লু, বাউন্সি মিন্ট, পার্পেল টনিক, ব্ল্যাক ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে।’ 
তিনি আরও বলেন, পাঞ্জাবিতে প্লিট ওয়ার্ক, প্লিট উইথ জারদৌসি, জারদৌসি, কারচুপি, ডিজিটাল এমব্রয়ডারি, প্রিন্ট করা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও ফ্যাশন হাউস ‘কে ক্র্যাফট’ নিয়ে এসেছে বাহারি সব পাঞ্জাবির কালেকশন। তাদের সংগ্রহে রয়েছে রেগুলার, কাটবেইজড ও ফিটেড পাঞ্জাবি। ঢাকার অন্যতম বড় পাঞ্জাবির বাজার পীর ইয়ামেনি মার্কেট। এ ছাড়া রয়েছে মালিবাগ, মৌচাক, সদরঘাট, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, গুলিস্তানসহ নানা ব্র্যান্ডের ফ্যাশন হাউসগুলোর শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে পাঞ্জাবি। v
মডেল: রাতুল; পোশাক: গ্রামীণ চেক; ছবি: কাব্য

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পছন দ র ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

৬ বছর পর পাবিপ্রবির বর্ষবরণে বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া

৬ বছর পর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে ছিল উৎসবের রঙ, বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।  

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় আয়োজনের অংশ হিসেবে শুরু হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ  শোভাযাত্রা।

পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম আব্দুল-আওয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

আনন্দ শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মূল মঞ্চে এসে শেষ হয়। মহিশের গাড়ি, পালকি, মুখোশ, গ্রামীণ খেলনা, রঙিন ব্যানার, পটচিত্র ও বাদ্যযন্ত্রে মুখর ছিল পুরো আয়োজন।

দিনব্যাপী বর্ষবরণের আয়োজনে আরো ছিল স্বাধীনতা চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। এতে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের শিক্ষার্থী,  শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, পাবিপ্রবি প্রেসক্লাব, ছাত্র ও ছাত্রী হলকে স্বতন্ত্রভাবে বর্ণিল সাজে সজ্জিত দোকানে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী ইউসুফ খান রাচি বলেন, “এই প্রথমবার আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখতে পারছি। শুনেছি এর আগে ২০১৯ সালে আমাদের ক্যাম্পাসে এরকম উৎসব মুখর পরিবেশে এমন আয়োজন হয়েছিল। নিজেদের হাতে স্টল সাজানো, পিঠা বানানো, বিক্রি করা। সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলা সংস্কৃতির এমন প্রাণবন্ত আয়োজন আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, “সারাদিন ক্যাম্পাসে একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। সবাই যেন একে অপরের আপন। এই ধরনের আয়োজন আমাদের মধ্যে বন্ধন গড়ে তোলে, সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে দেয়।”

৬ বছর আগে ২০১৯ সালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষের উৎযাপন করা হলেও মাঝখানে করোনা, রোমজান থাকার কারনে গত কয়েকবছর এই উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ