Samakal:
2025-04-14@09:56:16 GMT

কার্নিতেই আস্থা কানাডার

Published: 11th, March 2025 GMT

কার্নিতেই আস্থা কানাডার

২০১৩ সালে যখন মার্ক কার্নি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তিনি প্রচলিত আট বছর মেয়াদের পরিবর্তে পাঁচ বছর মেয়াদ নিয়ে কথা বলেন। এর অর্থ ছিল, পরবর্তী ফেডারেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তিনি কানাডায় ফিরে যেতে আগ্রহী। সেই নির্বাচন ২০১৯ সালে হয়ে যায়, আর কার্নি ব্যাংকে তাঁর দায়িত্বকাল বাড়িয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। এক বছর পর গার্ডিয়ান তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তিনি কি একদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী হবেন? কার্নি একটু লাজুক ভঙ্গিতে বলেন, ‘আরে, সময়টা দেখো’! তিনি ভ্রু কুঁচকে হেসেছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় কার্নি উদারপন্থি নেতৃত্বের দৌড়ে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। প্রথম গণনায় মোট পয়েন্টের ৮৫.

৯ শতাংশ পেয়েছেন। কার্নির এই জয় তাঁর পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোকেও ছাড়িয়ে গেছে, যিনি ২০১৩ সালে ৮০ শতাংশের কিছু বেশি পয়েন্ট নিয়ে জিতেছিলেন।

কার্নি এখন কেবল লিবারেল পার্টির নেতা নন, আগামী দিনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। পরবর্তীকালে তাঁর প্রভাব দ্রুত পরীক্ষার মধ্যে পড়বে। অটোয়াতে গুঞ্জন আছে, কার্নি দ্রুত একটি ফেডারেল নির্বাচনের ডাক দেবেন। তা না হলে তিনি অবৈধতার অভিযোগের মুখে পড়বেন। এক, হাউসে আসনবিহীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। দুই, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উদারপন্থিরা জরিপে বিরোধী রক্ষণশীলদের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে শুরু করেছে।

এটি একটি চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন। মাত্র দুই মাস আগে যখন ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দেন, তখন উদারপন্থিরা কানাডিয়ানদের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ সমর্থন পাচ্ছিল। এখন দলটির সমর্থন প্রায় ৩০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প আংশিক অনুঘটকের কাজ করেছেন। তিনি দ্রুত কানাডাবাসীর মনোযোগ বহির্বিশ্বের দিকে টেনে নিয়েছেন এবং তাদের অগ্রাধিকার নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছেন। এ বিবেচনায় রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তারা কাকে বিশ্বাস করেন।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে কানাডাবাসীর এর উত্তরের জন্য উদারপন্থিদের দিকে তাকাতে হচ্ছে, যখন কার্নি নেতৃত্বে আসতে যাচ্ছেন– এটা স্পষ্ট হয়। ‘আমার জীবনের সবকিছুই এই মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করেছে’– রোববার উদারপন্থি জনতার উদ্দেশে কার্নি এ কথা বলেন। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, অসংখ্য কানাডাবাসী এতে সহমত পোষণ করছেন। 
নিঃসন্দেহে এটি নেতৃত্বের দৌড়ে কার্নির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে হতাশ করেছে। রোববার ফ্রিল্যান্ড দলীয় ভোটে মাত্র ৮ শতাংশ সমর্থন পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। এমনকি কার্নি ফ্রিল্যান্ডকে তাঁর নিজের এলাকায় ১,৩২২-১৮৮ ভোটে পরাজিত করেছেন। সত্যি বলতে, এটি ফ্রিল্যান্ডের জন্য একটি ভয়াবহ ফল ছিল। এটি এমন এক ফল, যা কয়েক মাস আগে খুব কম লোকই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।

ট্রাম্প কানাডাবাসীকে আবার জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠতে সাহায্য করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ট্রুডোই তাঁর শেষ পদক্ষেপে কানাডাবাসীর এমন অনুভূতি ধারণে সাহায্য করেছেন, এখনও তারা একসঙ্গে আছেন। সংকটের মুহূর্তে তিনি সবসময় ভালো ছিলেন এবং ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতি তাঁর প্রতিক্রিয়াই তার প্রমাণ।
২০২১ সালে কার্নি ব্যাখ্যা করেছিলেন, ‘যদি আমি বেসরকারি অর্থায়নে থাকতাম, তাহলে ২০ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে থাকার সুযোগ-ব্যয় (অপরচুনিটি কস্ট) অনেক বেশি হতো। আমি কি টাকার পরোয়া করি? স্পষ্টতই, আমার একটা পরিবার আছে এবং কিছু কাজকর্মও রয়েছে। কিন্তু আমি এখন পুরোপুরি অটোয়াতে আছি। আমি অটোয়াতে ফিরে এসেছি। এটি এখন আগের চেয়েও বেশি সত্য। কানাডায় শিগগিরই একটি নির্বাচন আসছে এবং আমরা দেখব, কার্নির জীবনের সবকিছু তাঁকে আরও একটি জয়ের জন্য প্রস্তুত করেছে কিনা। ইতোমধ্যে মনে হচ্ছে, কার্নি ঠিক যেখানে থাকতে চান সেখানেই আছেন।

কলিন হর্গান: টরন্টোভিত্তিক লেখক এবং জাস্টিন ট্রুডোর সাবেক বক্তৃতা-লেখক; দ্য গার্ডিয়ান থেকে সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন য কর ছ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে যুবক অপহরণ, দশ লাখ মুক্তিপণ দাবি  

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনায় অপহরণকারী দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। 

জানা যায়, মোহাম্মদ দেলোয়ার মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আব্দুল করিম মিস্ত্রীর ছেলে।

সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফের বাহারছড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ। 

তিনি বলেন, সকালে এলাকার তিনজন মিলে পাহাড়ে ছন আনতে যায়। ওই সময় সশস্ত্র গোষ্ঠী ধাওয়া করে একজনকে ধরে নিয়ে যায়। অপর দুজন কোন রকম পালিয়ে এসেছে। এরপর দুপুরে অপহরণকারীরা অপহৃত পরিবারের কাছে ফোনে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। 

এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, এক যুবক অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। তবে মুক্তিপণের বিষয়টি আমরা অবগত নই।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত ১৫ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্য বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ