খুলনায় অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে পবিত্র রমজানজুড়ে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে সামাজিক সংগঠন ইদ্দিখার ফাউন্ডেশন। 
কোনো দিন সংগঠনটি রাস্তার পাশে রিকশাচালক, পথচারী ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে, কোনোদিন মাদ্রাসায় গিয়ে এতিম শিশুদের দিচ্ছে 
ইফতারি। পাশাপাশি দরিদ্রদের জন্য সাহরির সামগ্রীও দিচ্ছে সংগঠনটি। 
সংগঠনের সদস্যরা জানান, রমজান শুরুর আগের দিন তারা দরিদ্র, এতিম, বিধবা ও বয়স্ক ৫০টি পরিবারের মাঝে ইফতারসামগ্রী দেন। প্রথম রোজায় জামিয়া রশিদিয়া গোয়ালখালী মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৬০ এতিম ছাত্রকে ইফতার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন বিলপাবলা হুসাইনিয়া জামে মসজিদে অর্ধশতাধিক মুসল্লির মাঝে ইফতারি 
বিতরণ করেন। একই মসজিদে একটি সিলিং ফ্যান দেওয়া হয়।
এ ছাড়া তৃতীয় রোজায় মুজগুন্নি মহাসড়কে পথচারীদের মাঝে ইফতারের প্যাকেট ও বোতলজাত পানি বিতরণ করা হয়। চতুর্থ দিন নগরীর শিববাড়ী মোড়ে রিকশা-ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের ইফতার দেওয়া হয়। পঞ্চম রোজায় দিঘলিয়া উপজেলার ফজলুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৫০ জন দরিদ্র শিশুকে নিয়ে নদীর তীরে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
এদিকে ষষ্ঠ রোজায় রায়েরমহল কলেজের মাঠে নবীন রোজাদারের মাঝে, সপ্তম রোজায় বয়রা বাজার মোড়ে ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যানচালকদের মাঝে, অষ্টম রোজায় নগরীর ৭ নম্বর ঘাটে কর্মরত শ্রমিকদের, নবম রোজায় খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল মসজিদে ইফতার দেওয়া হয়। দশম রোজায় বয়রা পুলিশ লাইন্সের সামনের সড়কে পথচারীদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। 
ইফতারের প্যাকেট পাওয়া রিকশাচালক সোলায়মান শেখ ও ইজিবাইক চালক ইয়াকুব আলী বলেন, তারা গরিব মানুষ। চলতি পথে ইফতার পেয়েছেন। সবাই যদি রমজানে এভাবে গরিবদের সহায়তায় এগিয়ে আসত, তাহলে কষ্ট কমে যেত।
ইদ্দিখার ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক এম এ সাদী জানান, প্রচারবিমুখ কিছু দানশীল ব্যক্তির টাকা দিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন। চার বছর ধরে রমজানে ইফতার-সাহ্‌রি সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্নভাবে দরিদ্র লোকজনকে সহায়তা করে এই সংগঠনটি। ঈদের আগে দরিদ্র লোকজনের মাঝে সেমাই-চিনিসহ ঈদের বাজার করে দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র দর দ র ইফত র পথচ র রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চাষাড়ায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি

একের পর এক সংঘাত-সংঘর্ষের মধ্যদিয়েই চলছে নারায়ণগঞ্জে দখলদারিত্ব। পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এখানকার রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, পরিবহন ও ঝুট সেক্টরসহ অনেক বড় বড় সেক্টরগুলো দখল হয়ে গেলেও এখনও বন্ধ করা যাচ্ছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজী।

প্রায় প্রতিদিনই খবরের কাগজে উঠে আসছে এসব দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজীর খবর। এবার সেই খবরে যোগ হলো চাষাঢ়ার রেলওয়ের জায়গা দখল করে অটো স্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজীর ঘটনা।

জানাগেছে, চাষাঢ়া আল জয়নাল ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন রেলওয়ের জায়গাটি দখল করে অটো রিকশা ড্রাইভার-মালিক ঐক্যপরিষদের নামে ভূয়া একটি সংগঠন খুলে স্ট্যান্ড করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি অটো রিকশা থেকে নিয়মিত আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।

যানজট নিয়ন্ত্রণে ৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের বেতন বাবদ ওই চাঁদা তোলা হয় বলে জানিয়েছেন ওই ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ। তবে তার কথার সাথে বাস্তবতার মিল বড় কঠিন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানাগেছে, চাষাঢ়া-পঞ্চবটি রুটে প্রায় ৩ শতাধীক অটো রিকশা চলাচল করে। এসব অটো রিকশা থেকে বর্তমানে ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। হিসেব অনুযায়ী ৩শ অটো রিকশা থেকে দৈনিক প্রায় ৯ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। 

অথচ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা ৪ জনের বেতন বাবদ দৈনিক ৭শ টাকা করে হলে মোট ২ হাজার ৮শ টাকা হয়। বাকি টাকা চাঁদাবাজদের পকেটেই ঢুকে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুঁইফোড় সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি মো: সাইদ পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে এখানে স্ট্যান্ড করেছেন বলে দাবি করেন। 

তিনি বলেন, আগে আমাদের অটো রিকশাগুলো পঞ্চবটি থেকে অক্টো অফিস পর্যন্ত চলাচল করতো। চাষাঢ়া থেকে পঞ্চবটি যাওয়া যাত্রীগুলো অনেক সময় চাষাঢ়া থেকে রিকশা করে অক্টো অফিসে গিয়ে সেখান থেকে অটো রিকশা করে পঞ্চবটিতে যেতো।

কিন্তু শহরে মিশুক চলাচলের অনুমতি দেওয়ায় ওরা চাষাঢ়া থেকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে সোজা পঞ্চবটিতে যায়। ফলে যাত্রী সংকটে পরে অটো রিকশা চালকরা। পরে আমরা এ নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করি। আমরা এসপি অফিসে গেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও টিআই এডমিন আমাদের এখানে স্ট্যান্ড করার অনুমতি দেন। 

‘রেলওয়ের জায়গা স্ট্যান্ড করতে হলেতো রেলকর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। আপনারা কি সেই অনুমতি নিয়েছেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইদ বলেন, নানা আমরা আপাতত কাউকে জানাইনি। আপাতত গাড়ীগুলো (অটো রিকশাগুলো) রাখাতাছি। পরে স্টেশন মাস্টারকে জানাবো।

এদিকে পুলিশের অনুমতি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে টিআই আবদুল করিম শেখ বলেন, ওই জায়গাতো আমাদের না। আমরা কেন অনুমতি দেবো। আমাদের কথা হলো, অটো রিকশা যেখানেই চলুক আর যেখানেই রাখুক শহরে ঢুকতে পারবে না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় ৫ বছর ধরে ইফতারি নিয়ে এতিমদের পাশে শিক্ষার্থীরা
  • চাষাড়ায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড, চাঁদাবাজি