বাপ্পারাজের সংলাপগুলো দীর্ঘদিন পরও কেন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে
Published: 11th, March 2025 GMT
‘প্রেমের সমাধি ভেঙে, মনের শিকল ছিঁড়ে, পাখি যায় উড়ে যায়’, আজও গানটা জনপ্রিয়। অবসরে, মন খারাপে, প্রিয় মানুষকে হারিয়ে অন্ধকার ঘরে কানে হেডফোন দিয়ে শুনে থাকেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এমন কথা শেয়ার করেছেন। অনেকের মতে, গানটির দৃশ্যও মন খারাপের উদ্রেক করে। দৃশ্যটিও দেখে থাকেন অনেকে। যেখানে দেখা যায়, নায়িকার বিয়ে হয়ে গেছে, লঞ্চে করে স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি চলে যাচ্ছে সে। অন্যদিকে তাকে হারানোর বেদনায় নদীর কূল ধরে গাইতে গাইতে ছুটছে নায়ক।
গানটা ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার। পরিচালক ইফতেখার জাহান। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছিলেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। ১৯৯৬ সালের এ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন বাপ্পারাজ, অমিত হাসান, শাবনাজ, এ টি এম শামসুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। সেই হিসাবে দুই যুগের বেশি সময় অতিবাহিত হয়েছে। বিশ্বায়ন ও ইন্টারনেটের প্রভাবে বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। ইতিমধ্যে শিল্পাঙ্গন থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রাঙ্গন—প্রায় প্রতিটি মাধ্যমেই এসেছে নানা পরিবর্তন। ওটিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে পছন্দমতো কনটেন্ট খুঁজে নিচ্ছেন দর্শক। এই যখন পরিস্থিতি, তখন ২৯ বছর আগের একটি সিনেমার সংলাপ নিয়ে হইচই পড়ে যাবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়বে, এমন আশা করাটা দুরাশাই বটে।
যদিও ‘দুরাশা’ বললাম, তবে এটা কিন্তু সত্যিই ঘটেছে। ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে, মনের শিকল ছিঁড়ে, পাখি যায় উড়ে যায়’ গানের ঠিক আগের দৃশ্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। দৃশ্যের বর্ণনা দেওয়ার আগে সিনেমাটি সম্পর্কে সংক্ষেপে বলে নেওয়া যাক। সিনেমার প্রধান দুটি চরিত্র বকুল আর হেনা। তারা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। একসময় পড়ালেখার জন্য বকুল শহরে চলে যায়। হেনাকে নিয়মিত চিঠি যদিও লেখে কিন্তু বকুলের বাবা পোস্ট অফিসের পিয়নের সঙ্গে যোগসাজশ করে চিঠিগুলো হেনার কাছে যাতে না পৌঁছায়, সেই বন্দোবস্ত করে। দিন যায়, হেনার বেদনা বাড়ে।
আরও পড়ুনতোমরা যখন ডাকবে আমি আসব১৮ জানুয়ারি ২০১৮অন্যদিকে হেনার বাবা শহরের এক বড়লোক পরিবারে বিয়ে ঠিক করে তার। আর যেদিন হেনার বিয়ে হয়ে যায়, সেদিনই শহর থেকে ফেরে বকুল। গ্রামে এসেই হেনাদের বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে, বাড়িঘর বিয়েবাড়ির মতো করে সাজানো। তখন হেনার বাবার কাছে সে জিজ্ঞেস করে, ‘চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়? চাচা, কথা বলছেন না যে। চুপ করে আছেন কেন?’ জবাবে চাচা বলেন, ‘হেনাকে তুমি ভুলে যাও, হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।’ কথাটা শোনামাত্র বকুলের কণ্ঠ ধরে আসে। ধরা গলায় সে বলে, ‘না না, হেনার বিয়ে হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না, আমি বিশ্বাস করি না।’ পরপরই নদীর কূল ধরে ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে, মনের শিকল ছিঁড়ে, পাখি যায় উড়ে যায়’ গানটি গাইতে গাইতে বকুল ছুটতে থাকে। হেনাকেও চোখের জল ফেলতে দেখা যায়। হেনা চরিত্রে শাবনাজ ও বকুল চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন বাপ্পারাজ।
ওয়েব সিরিজ ‘রক্তঋণ’ দিয়ে ফিরছেন বাপ্পারাজ। ছবি: পরিচালকের সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিএলে চার–ছক্কায় হাজারি কোহলি
টি–টোয়েন্টি চার–ছক্কার খেলা। আর এই সংস্করণের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আইপিএলই সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সেখানে চার–ছক্কা মারায় এত দিন সবার ওপরেই ছিলেন বিরাট কোহলি। গতকাল রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে সেই জায়গায় নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন কোহলি, যেটা মনে রাখার মতোই এক মাইলফলক। আইপিএলে চার–ছক্কা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার দৌড়ে শুধু কোহলিই এখন হাজারি ক্লাবের সদস্য।
আরও পড়ুনশ্বশুরের কারণে পাকিস্তান দলে ঢোকার অভিযোগ, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শাদাব৪ ঘণ্টা আগেদিল্লির মুখোমুখি হওয়ার আগে চার–ছক্কা মিলিয়ে ৯৯৮টি বাউন্ডারি ছিল কোহলির। বেঙ্গালুরুতে কাল দিল্লির কাছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৬ উইকেটে হারের ম্যাচে ১৪ বলে ২২ রান করেন কোহলি। একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। বেঙ্গালুরুর ইনিংসে দিল্লি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে চার মেরে পৌঁছে যান ৯৯৯–তে। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে সেই অক্ষরকেই চোখধাঁধানো এক শটে ছক্কা মেরে পৌঁছে যান অনন্য এই মাইলফলকে। এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে কোহলির সেই ছক্কা শুধু চোখ জুড়ানোই নয়, এমন একটি মাইলফলকে পৌঁছাতে বলতে পারেন যথার্থ একটি শট।
ছক্কায় মাইলফলকটি ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি