ছাত্রশিবির, ছাত্রদলসহ যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন, তাঁরা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে ছাত্রদল আয়োজিত কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ছাত্রশিবিরের ‘শহীদ দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ও কোরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নিতে ক্যাম্পাসে আসেন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এই অনুষ্ঠান শেষে তিনি ছাত্রদলের কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সব সময় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন উল্লেখ করে শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ কিন্তু অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি। সব সময়ই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দূরদর্শী, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনের দিকে ছিলেন।’

কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতারা অংশ নেন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র অন ষ ঠ ন ক রআন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পহেলা বৈশাখে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা

ঢোলের তালে মুহুর্মুহু আঘাত, প্রতিরোধের খটাখট শব্দে মুখরিত হয়ে জমে উঠেছে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। চারদিকে উৎসুক জনতা ভিড় করে উপভোগ করে খেলাটি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন উদ্যমে ফিরিয়ে আনতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রশাসন এ লাঠি খেলার আয়োজন করে। 

সোমবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ লাঠি খেলা। খেলায় লাঠি খেলার পাশাপাশি বুকের উপর ইট রেখে মাটি কাটার কোদাল দিয়ে আঘাত করে পরপর তিনটি ইট ভাঙা হয়। যা ছিল খেলার অন্যতম আকর্ষণ। উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের আবাদপুর এবং পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রাম থেকে দক্ষ লাঠিয়ালরা খেলা প্রদর্শন করেন।

খেলা দেখতে আসা রুপক হোসেন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, আধুনিক যুগে এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলা হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনকার প্রজন্ম ডিজিটাল মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এধরনের আয়োজন প্রতিনিয়ত হওয়া প্রয়োজন। খেলা দেখে খুব আনন্দ পেয়েছি। 

মনির হোসেন নামের এক লাঠিয়াল বলেন, আমাদের এ দেশীয় খেলাগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আগে প্রতিনিয়ত গ্রামগঞ্জে এধরনের লাঠি খেলা হতো। আমরা টাকার বিনিময়ে চুক্তিতে খেলতাম। এখন আর আগের মতো খেলা হয় না। এতে আয় রোজগার কমে গেছে। এ খেলাগুলোকে রক্ষা করা দরকার।

আয়োজক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলা ফিরিয়ে আনতে আমাদের এ আয়োজন। খেলাটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভবিষ্যতেও এধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলল রবীন্দ্রনাথ নজরুল লালনের
  • চড়ক মেলায় মেতে উঠেছিল নাটোরের শংকরভাগ 
  • কুমারখালীতে অন্যরকম আনন্দ শোভাযাত্রা
  • নববর্ষেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ: দুলু
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন
  • আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
  • পহেলা বৈশাখে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা
  • হালখাতা আছে, নেই নিমন্ত্রণ
  • মারমাদের মাহা সাংগ্রাই উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
  • ‌‘তৌহিদী জনতার’ চিঠিতে বাতিল হলো শেষের কবিতা নাটকের প্রদর্শনী