রিয়াল মাদ্রিদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে এরই মধ্যে ২৭ গোল করেছেন ফরাসি তারকা, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৪ গোল।

কিন্তু এমবাপ্পে মাদ্রিদে পা রাখার পর সবাই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, জুড বেলিংহাম ও রদ্রিগোকে কোন পজিশনে, কোন ভূমিকায় খেলান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। এমবাপ্পেকে শুরু থেকেই খেলাতে গিয়ে আনচেলত্তি অন্য তিন ফরোয়ার্ডের একজনকে বসিয়ে রাখবেন কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছিল।

তবে রিয়াল কোচ উপায় ঠিকই বের করে ফেলেছেন। এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস খেলছেন স্ট্রাইকারের ভূমিকায়, বেলিংহাম ও রদ্রিগো খেলছেন তাঁদের পেছনে, কখনো কখনো দুই উইংয়ে। লা লিগায় পরশু রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচেও এই ফরমেশন খেলিয়েছেন আনচেলত্তি। রিয়ালের গোল দুটি ভিনি আর এমবাপ্পেই করেছেন।

রিয়াল মাদ্রিদের চার তারকা ফরোয়ার্ড (বাঁ থেকে) এমবাপ্পে, রদ্রিগো, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীর পথসভায় বক্তারা: পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পরিবীক্ষণ কমিটি পুনর্গঠন করা ছাড়া আট মাসে এ চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পথসভায় এ কথা বলেছেন বক্তারা।

আজ শনিবার রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কে এ সভা হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অগ্রাধিকার তালিকায় রাখাসহ সাত দফা দাবিতে আজ দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাস্তবায়ন আন্দোলন নামের সংগঠনটি। এর মধ্যে আছে ছয়টি পথসভা, প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ। এর অংশ হিসেবে সকালে বাহাদুর শাহ পার্কের সভাটি হয়।

আজকের সভায় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের আওয়াজ তুলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন বন্দোবস্তের বাস্তব রূপ দিতে হবে। আর এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সরকারের কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা নেই।

সমাবেশে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ২৭ বছরে এই চুক্তির কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি, কোনো ধরনের মৌলিক বিষয় বাস্তবায়িত হয়নি। যারা চুক্তি করেছিল, তারাও করেনি। এখন যারা ক্ষমতায় বসেছে, তারাও করছে না।

রুহিন হোসেন বলেন, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। পাহাড়িদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশ শেষে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার মহানগর দায়রা জজ আদালত, রায়সাহেব বাজার, তাঁতীবাজার এলাকায় সাত দফা কর্মসূচির প্রচারপত্র বিতরণ করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পক্ষে আজ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও প্রচারপত্র বিলির কর্মসূচি নেওয়া হয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ