বন্দরে গণমাধ্যমকর্মীর স্ত্রী ও কন্যার উপর হামলায় থানায় অভিযোগ
Published: 11th, March 2025 GMT
বন্দরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গনমাধ্যম কর্মীর স্ত্রী ও কন্যা সন্তান রক্তাক্ত জখমের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এ ঘটনায় সাংবাদিকের স্ত্রী আহত নাসরিন আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল হামলাকারি লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগম, তার মেয়ে সোনিয়া ও সন্ত্রাসী সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় বন্দর উপজেলার লম্বাদরদি এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার লম্বাদরদি এলাকার সাংবাদিক মাছুম বিল্লাহ স্ত্রী নাসরিন আক্তার সাথে একই এলাকার মোক্তার হোসেন মিয়ার স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে প্রতিপক্ষ লেডি সন্ত্রাসী শারমিন বেগম অভিযোগের বাদিনী স্বামী ও গনমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহসহ অভিযোগের বাদিনী তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
গত ১ মাস ধরে অভিযোগের বাদিনীর স্বামী গণমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহ তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে পাঁকা স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে আসছিল।
এর ধারাবাহিকতা গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় গণমাধ্যম কর্মী মাছুম বিল্লাহ ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রিতু আক্তার (২০) নির্মিত ভবনের নির্মান সামগ্রী ক্রয় করার উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হলে ওই সময় লেডি সন্ত্রাসী শারমীন বেগমের হুকুমে ২নং বিবাদী সোনিয়া বেগমের সহযোগিতায় একই এলাকার মৃত খোরশেদ আলমের সন্ত্রাসী ছেলে অভিযোগের ৩নং বিবাদী সোহেল বাবুসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন সন্ত্রাসী কলেজ ছাত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য গ্যাসের পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে নির্মান সামগ্রী ক্রয়ের নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ও ১টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকে হাসনাত-সারজিস, বললেন অতিগোপনীয় অভিযোগ নিয়ে এসেছেন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠন সারজিস আলম। সেখানে তাঁরা কিছু অভিযোগ লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুপুরে যান এই দুই নেতা। তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছি। আমাদের অভিযোগগুলো আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভেরি কনফিডেনশিয়াল’ (অতিগোপনীয়)। কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এমন প্রশ্নে সরাসরি জবাব না দিয়ে হাসনাত বলেন, ‘এটা ভেরি কনফিডেনশিয়াল। এখন কনফিডেনশিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনশিয়াল থাকল না। তা ছাড়া অপরাধীরা তখন সতর্ক হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এ সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল, সেটি আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেটি জানাতেই আমরা এখানে এসেছি। এর বেশি কিছু বলছি না এখন।’